বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনি জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। আপাতত আমরা জুলাই-সনদ অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আছি। এ আন্দোলন সফলের কোনো বিকল্প নেই বলে বিবৃতি দিয়েছেন আমিরে মজলিস মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে ঢাকার মুহাম্মাদপুরস্থ তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে হাটহাজারী মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস আল্লামা আব্দুল আজিজ (রহ.)-এর সাহেবজাদা ও আমিরে হেফাজত আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী (দা.বা.)-এর জামাতা হজরত মাওলানা হাবীবুল্লাহ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে যোগদান করেন।
তিনি আমিরে মজলিসের হাতে প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনে যোগদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা আব্দুস সোবহান, খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ-সদস্য জাকির হোসাইনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
যোগদান অনুষ্ঠানে আমিরে মজলিস অত্যন্ত দৃঢ় ও স্পষ্টভাবে উপরোক্ত মন্তব্য করেন এবং আরও বলেন, সংগঠনের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই গ্রহণ করা হবে।
প্রথমে বিষয়টি সংগঠনের ‘রাজনৈতিক সেলে’ বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা হবে, তারপর তা ‘কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি’তে উপস্থাপন করা হবে। সেখান থেকে ‘কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা’য় আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। প্রয়োজনে তৃণমূল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের মতামতও গ্রহণ করা হবে।
তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জনগণের সঙ্গে মিশে কাজ করতে হবে, তাদের ভাবনা ও মনোভাব বুঝতে হবে। সংগঠনের সিদ্ধান্ত যেন জনগণের চাওয়া-পাওয়া ও বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়—সে দিক বিবেচনায় রেখেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
মাওলানা মামুনুল হক সাম্প্রতিক ধর্মীয় ইস্যুতেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন অবমাননার জঘন্য ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ শান্তিকামী সব নাগরিককে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। পবিত্র কোরআন হচ্ছে মহান আল্লাহর কালাম; এর প্রতি অবমাননা কেবল ধর্মীয় অনুভূতির অপমান নয়, বরং এটি আল্লাহ তাআলার প্রতি বিদ্রোহ ও ইসলাম ধর্মের ওপর সরাসরি আঘাত।
তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ধৃষ্টতা করার সাহস না পায়।