গত বছরের ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া ৮৫ শতাংশ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া ১৫ শতাংশ অস্ত্র-গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়। ভোট প্রস্তুতির মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির প্রথম বৈঠক এটি। সংলাপে চার নির্বাচন কমিশার, ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সচিব বলেন, লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর বিষয়ে উনারা বলেছেন যে, কিছু অস্ত্র এখনো পর্যন্ত প্রায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত তারা রিকভারি (উদ্ধার) করেছেন। আরও কিছু অস্ত্র এবং কিছু গোলাবারুদ এখনো পর্যন্ত আছে। কিন্তু এগুলো উদ্ধারের প্রক্রিয়া চালু আছে।
আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রস্তুতিমূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো ধরনের নির্দেশনা ইসির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বলে জানান সচিব আখতার আহমেদ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান ও প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, সেনাবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি লেফট্যানেন্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিমানবাহিনীর প্রধানের প্রতিনিধি এয়ার ভাইস মার্শাল রুশাদ দিন আসাদ, নৌবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।
এছাড়া, এনএসআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু মোহাম্মদ সরোয়ার ফরিদ, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ভিডিপি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, ঢাকার র্যাব হেডকোয়ার্টারের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অর্থ) জি এম আজিজুর রহমান এবং সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্ল্যাহ উপস্থিত ছিলেন।