শেরে বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন জাতীয় দৈনিক সংবাদ সারাবেলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী আবু জাফর। শুক্রবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা পদক তুলে দেন বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী ও শেরে বাংলার দৌহিত্র সাবেক সচিব মার্গুব মোর্শেদ। অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, ভাষা আন্দোলন ও কৃষক আন্দোলনের মহান নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক-এর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক স্মৃতি পরিষদ। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মদিন উপলক্ষে এই গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। রাজধানীর সেগুন বাগিচা কঁচি কাঁচা মিলনায়তন এই অনুষ্ঠানের
মিডিয়া পার্টনার দৈনিক সংবাদ সারাবেলা। হলরুম ভর্তি দর্শকদের উপস্থিতিতে শেরে বাংলার ১৫২তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি আরো প্রানবন্ত হয়ে উঠে। শেরে বাংলার দৌহিত্র সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ এর সভাপতিত্বে মঞ্জুর হোসেন ইসা ও তানিয়া আফরিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম ফারুক মজনু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আর কে রিপন। আলোচনা সভায় বক্তারা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের জীবন, কর্ম, ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরেন। শেরে বাংলা ছিলেন বাঙালি জাতিসত্তার এক অনন্য প্রতীক। কৃষক-শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় তাঁর অবদান আজও সমান প্রাসঙ্গিক। বর্তমান প্রজন্মকে শেরে বাংলার চিন্তাধারা ও আদর্শ জানতে হবে-কারণ তিনি ছিলেন গণমানুষের নেতা, যিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন দারিদ্র্যমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে “শেরে বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সম্পাদক ও প্রকাশক ক্ষেত্রে: কাজী আবু জাফর দৈনিক সংবাদ সারাবেলা, মানবাধিকার ক্ষেত্রে: মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে: আরটিভির মাইদুল রহমান রুবেল, সঙ্গীত ক্ষেত্রে: জনপ্রিয় শিল্পী জেনস সুমন এছাড়াও সমাজসেবা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য আরও বেশ কয়েকজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা, কবিতা পাঠ, ও দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেরে বাংলার স্মৃতিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। শেষে উপস্থিত অতিথি ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শেরে বাংলার কর্মজীবনের উপর একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের ঘোষণা দেন।