সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের সদস্যদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল যশোর সেনানিবাসে সিগন্যাল ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে (এসটিসিঅ্যান্ডএস) অনুষ্ঠিত কোর অব সিগন্যালসের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এসব বিষয়ে কথা বলেন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী কোর অব সিগন্যালসের সদস্যদের স্মরণ করে সেনাপ্রধান বলেন, দেশ ও জাতি গঠনে কোর অব সিগন্যালস-এর গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে। দেশমাতৃকার সেবায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তারা জড়িত। সততা, সত্যনিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধে ব্রতী হয়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশগঠনে কোর অব সিগন্যালসের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ জানান তিনি।
এর আগে, সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক)। জিওসি, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়া এবং কমান্ড্যান্ট, এসটিসিঅ্যান্ডএস অভ্যর্থনা জানান। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর সব সিগন্যাল ব্রিগেডের কমান্ডার, সিগন্যাল ইউনিটসমূহের অ্যালায়ক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, গত ৯ নভেম্বর এসটিসিঅ্যান্ডএস এ কোর অব সিগন্যালসের ১১তম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। যশোর সেনানিবাসে শহীদ আবদুল হামিদ প্যারেড গ্রাউন্ডে যথাযোগ্য সামরিক ঐতিহ্য ও রীতি অনুযায়ী কোর অব সিগন্যালসের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্টকে জ্যেষ্ঠতম অফিসার এবং জ্যেষ্ঠতম মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট র্যাঙ্ক ব্যাজ’ পরিয়ে দেন। এ সময় একটি চৌকশ দল নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।