ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ বলেছেন, ‘পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে শিক্ষার্থী যাওয়ার হার বাড়ছে। বাংলাদেশি আবেদনকারীরা সঠিক নথি দিলে ভালো হয়। অনেক শিক্ষার্থী ভুয়া নথি দেওয়ায় যাচাই-বাছাই করতে সমস্যা হচ্ছে।’
বুধবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলে জার্মান রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র ভিসা একটি চ্যালেঞ্জ। জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা অপেক্ষার সময় কমানোর চেষ্টা করছি। বাংলাদেশি আবেদনকারীরা সঠিক কাগজপত্র দিয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারেন।
আমাদের ভিসা বিভাগের জন্য প্রধান সমস্যা হলো তাদের অনেক ভুল বা ভুয়া কাগজপত্র সামলাতে হয়। এটি প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করে।’
রাষ্ট্রদূত রুডিগার বলেন, ‘এসব ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আবেদনকারীদের জন্য সত্যিকারের শিক্ষার্থীরা যারা পড়াশোনা করতে চান তাদের সুযোগ ক্ষুণ্ন হয়। আবেদনকারীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকতা নিশ্চিত করে সাহায্য করতে পারে।
জার্মানি তরুণদের চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি উভয়ের জন্য লাভজনক। আমরা তরুণ, দক্ষ শিক্ষার্থীদের চাই।’
জার্মানি পেশাগত প্রশিক্ষণও দিতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জার্মান সরকার পেশাগত ভিসার জন্য ব্যবস্থাও চালু করেছে। জার্মান কম্পানিগুলি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সময় স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয়, যা জ্ঞান বিমিনিময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
জানা গেছে, জার্মানিতে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভিসা পেতে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়।
অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জার্মানিতে যেতে অপেক্ষা করতে হয় আড়াই থেকে তিন বছর।