পদ্মা সেতুসহ সরকারের তিন মেগা প্রকল্প চালু হতে যাচ্ছে এ বছর। প্রকল্পগুলোর কাজ ঠিকভাবে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে চায় সরকার। যোগাযোগের এ তিন প্রকল্পসহ আগামী অর্থবছরে বড় অংকের বরাদ্দই পাচ্ছে সরকারের মেগা প্রকল্পগুলো। তবে বেশির ভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষের দিকে থাকায় আগের চেয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের চাপ কমছে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হওয়ার কথা রয়েছে রাজধানীর আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের একাংশ। অক্টোবরে চালু হওয়ার কথা কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। আর মাত্র এক মাস পরে জুনেই উদ্বোধন হবার কথা রয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
শেষ দিকে থাকা প্রকল্পগুলো যেন অর্থসংকটে না পড়ে, আবার গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রকল্পেও যেন ঠিকমতো কাজ হয়, সে জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সেগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দের খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। আগামী মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে অনুমোদনের জন্য উঠছে নতুন এডিপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে।
নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে পরিবহন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও গৃহায়ণ খাত।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘মেগা প্রকল্পগুলো চালু হলে দেশের অর্থনীতি অনেক এগিয়ে যাবে। এর মধ্যে কয়েকটি তো শেষের দিকে রয়েছে। তাই সেগুলোতে বরাদ্দের চাপও কমছে। তবে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাবে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।’
অগ্রাধিকার পাওয়া বড় প্রকল্পগুলো হচ্ছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলি টানেল বা বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু রেলসেতু, ‘দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, মেগা প্রকল্পগুলোর সিংগভাগই যোগাযোগ খাতের। তাই এ খাত এডিপিতে বড় বরাদ্দই পাচ্ছে। মোট এডিপির প্রায় ২৯ শতাংশই যাবে এ খাতে।