হতদরিদ্রদের বিশেষ প্রকল্প ১৫ টাকা কেজি চাল যা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী হিসাবে অভিহিত। অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম চাল বিতরণের পর দ্বিতীয়বার চাল বিতরণ শুরু হয়েছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায়। গত ২০ অক্টোবর থেকে চাল বিতরণ শুরু করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ডিলার দিয়ে চাল বিতরণ মেনে নিতে চায়নি বিএনপি নেতারা। পরে দেন দরকার করে চাল বিতরণে বিষয়টি সুরাহা করা হয়।
৫১ জন নিয়োগ ডিলারে মধ্যে ১৩ জন ডিলার ডিলারশীপ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ৩৮ জন ডিলার দিয়ে চলছে ৫১ ডিলারের চাল বিতরণের কার্যক্রম। চাল বিতরণ নিয়ে হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে এ উপজেলায়।
উপজেলার ভবানী পুর ইউনিয়নের যমুনার পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, চাল বিতরণ চলছে। ডিলারের দোকান থেকে ভ্যান গাড়ী দিয়ে কালোবাজরীরা সরকারী বস্তাসহ চাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। তদারকী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বে থাকার কথা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ সহকারী দেলোয়ার হোসেনের। তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। ডিলারের দোকানে বস্তার চাল মাপার যন্ত্র না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কার্ডধারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আঃ কালাম (ছদ্মনাম) জানান, ৩০ কেজি চাল কেনি ৪৫০ টাকা দিয়ে। আমরা চাল কিনতে আসলে ৩০ কেজির যায়গায় ২৮ কেজির বস্তা ধরিয়ে দেয়। প্রতিবাদ করলে তারা বলেন, গুদাম থেকে যেমন পাইছি তেমন দেই। বাধ্য হয়ে কমই নেই।
ডিলার মোকছেদ আলী জানান, মহেশপুর বাজার থেকে তাকে এখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভ্যানে করে চাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি প্রথমে স্বীকার করলেও পরে তিনি এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
আছিম বাজার থেকে আঃ রশিদের চাল বিতরণ করছেন তার ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম। ঐ কেন্দ্রেও অনুপস্থিত ছিলেন তদারকি কর্মকর্তা রাশিদা খাতুন। ৬১৮ জন হতদরিদ্রদের মধ্যে এ ডিলার চাল বিতরণের জন্য খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করেন। তার ৩০/৩৫ টি বস্থা ছেঁড়া।বস্তায় চাল ছিল ২৬ থেকে ২৮ কেজি। সুবিধাভোগীরা ওজনে কম ছেঁড়া বস্তা নেয়ার সময় চাল বিতরণকারীদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা দেবব্রত জেলায় মিটিং এ থাকায় কথা বলতে রাজি হননি।
তবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকএসএম সালাহ উদ্দিন জেলার মিটিংয়ে থাকায় মোবাইলে জানান, দায়ী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।