ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ ও নিরাপত্তার দাবীতে কর্মবিরতি পালন করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রোববার সকাল থেকেই তাদের এই কর্মসূচী চলছে। বন্ধ রয়েছে পৌর এলাকায় পানি সরবরাহ, সড়কবাতিসহ সব ধরণের নাগরিক সুবিধা।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছে শহরবাসী ও পৌরসভায় সেবা নিতে আসা লোকজন। গত শনিবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পৌরসভায় হামলা চালায়। এসময় তারা ভাংচুর ও পৌরসভা চত্বরে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। কুপিয়ে আহত করা হয় পৌরসভার কর্মচারী মহিদুলকে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দ্রুত এ হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নিরাপত্তার দাবী জানিয়েছে কর্মচারী।
শৈলকুপা পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি আনিচুজ্জামান বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হামলার আশংকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন না। পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে, আমাদের নিরাপত্তা দিলে আমরা আবারো কাজে ফিরবো।
শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম বলেন, হামলায় প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অফিসের কিছু জরুরী কাগজপত্র আংশিক পুড়ে গেছে। আমি জেলা প্রশাসক, মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছি। তাছাড়াও থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি এই ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার হবে। সঠিক বিচার হলে পরবর্তীতে এ ধরনের হামলার সাহস তারা আর পাবে না বলে আমি আশা করি।