× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

একই জমিতে একসাথে চার ফসল আবাদ, কৃষকের হাসি

শৌখিন মিয়া, রৌমারী (কুড়িগ্রাম)

১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৯ পিএম

সমন্বিত কৃষি পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটাতে একই জমিতে একসাথে চার ফসল উৎপাদন করে অধিক লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকগণ। তাদের মুখে বইছে আনন্দের হাসি। ওইসব জমিতে এখন আখ, মরিচ, মুলা ও বেগুন একই সঙ্গে বেড়ে উঠছে।

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার শিবেরডাঙ্গি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক ফরজ আলী ৭৫ শতক, মাইদুল ইসলাম ৩৭ শতক ও আনিছুর রহমান ২৪ শতক জমিতে এসব ফসলের আবাদ করেন।

কৃষক ফরজ আলী বলেন, একই খরচ ও একই সময়ে একসাথে চার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। একসাথে চার ফসল উৎপাদনে সুবিধা হলো, এর মধ্যে কোন ফসলে লোকসান হলে অন্য ফসল থেকে তা পুষিয়ে নেওয়া যায়। উৎপাদনও ভাল হয়। ফলে লোকসানের কোন সম্ভাবনা থাকে না। তিনি আরও বলেন, প্রথমে মুলা, এরপর মরিচ, তারপর বেগুন ও শেষে থাকবে আখ। তিনি আরো বলেন মরিচ ও বেগুন তোলে বাজারে বিক্রি শুরু করেছি। মরিচ ও বেগুনের দাম ভাল হওয়ায় জমি থেকে প্রতি সপ্তাহে টাকা আসতে শুরু করেছে। এবারও ভাল লাভবান হবো। এ বছর আমি উৎপাদন খরচ বাদে প্রায় দেড় লক্ষাধীক টাকা আয় করতে পারবো। তাদের এই ফসল দেখতে জমিতে আসেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। একই জমিতে যে একই সঙ্গে চার ফসল ফলানো যায়, তার বাস্তবে এলাকার চাষিদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। আগামীতে তার মতো করে আবাদ করতে চান ওই গ্রামের অনেক চাষীরা।

একই গ্রামের কৃষক মাইদুল ইসলাম ও আনিছুর রহমান জানান, এর আগে যারা এরকম চার ফসল আবাদ করেছে আমি তাদের কাছে পরামর্শ নিই। তিনি আরো জানান, এক সঙ্গে একাধিক ফসল ফলাতে পারলে স্বল্প সময় ও অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যাবে। আগামী মৌসুমে এবারের চেয়ে সমন্বিত পদ্ধতিতে বেশি জমিতে একাধিক ফসলের আবাদ শুরু করবো।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, কৃষক ফরজ আলীর মতো এভাবে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করলে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি থেকে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। কুড়িগ্রাম জেলার মাটি অত্যন্ত উর্বর। এ মাটিতে সব ধরনের আবাদ করা যায়। এছাড়া এ জেলার কৃষকরা ভালো ফসল ফলাতে অনেক আগ্রহী ও যতœবান। কৃষকদের আমরা সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছি। এক সঙ্গে চার ফসল আবাদ করলে রোগবালাই কম হয়। আরও সুবিধা হলো একই খরচে চারটি ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে। তাছাড়া একটাতে লোকসান হলে অন্যটি থেকে পুষিয়ে নেওয়া যায়। ফলে চাষির লোকসান হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাছাড়া এভাবে শাকসবজির চাষ করলে একদিকে পুষ্টির অভাব দুর হবে,অপরদিকে বাজারের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে এবং বাজারে কোন সংকট হবে না।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.