ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রায় ৫০০ হেক্টর আমনের ক্ষতি হয়েছে। খেসাড়ি ডাল (কলাই) সাড়ে ৪০০ হেক্টর এবং শীতকালিন সবজি নষ্ট হয়েছে ৩০ হেক্টর। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃফি সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৯ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক পরিমান ফসলে পাক ধরেছে। ধান গাছের মাথা ভারি হওয়ায় ঝড়ে তুলনামূলক বড় মাঠের পাকা ও কাঁচা ধানগাছ হেলে মাটিতে মিশে গেছে। মাঠের পানি স্থায়ী হলে গেলে পাকা ধান পচে যাবে। কাঁচা ধান চিটা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কলাই সম্পূর্ণই পচে গেছে।
সাউথালী ইউনিয়নের চাষি উকিল সাধু, মালেক পহলান, মিজানুর রহমান জানান, তাদের প্রত্যেকেরই দুই-তিন বিঘা জমির কাচা ও পাকা ধান ঝড়ে মাটিতে মিশে গেছে। মাঠে পানি থাকায় পাকা ধানে পচন ধরেছে। সাথী ফসল হিসেবে ধানের ক্ষেতে খেসাড়ি বুনেছিলেন তারা। তার সবই নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের একেক জনের ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শরণখোলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোস্তফা মশিউল আলম বলেন, মাঠের পানি নেমে গেলে ক্ষতি অনেকটা কম হবে। ফসল রক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে চাষিদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে আমি সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছি। মাঠের মানি দ্রুত যাতে নেমে যায় সেজন্য বেড়িবাঁধের সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। মাটিতে পড়ে যাওয়া পাকা ধান কিছুটা রক্ষা করা গেলেও কাঁচা ধান সবই চিটা হয়ে যাবে। খেসাড়ি সম্পূর্ণই পচে গেছে। তুলনামূলক উঁচু এলাকার সবজি কিছুটা রক্ষা পেতে পারে।