কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলাসহ দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন রোপা-আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ধান ক্ষেতগুলোতে কৃষক-শ্রমিকদের ধান কাটতে দেখা যায়।
ক্ষেতজুড়ে সোনালি রং বলে দিচ্ছে গ্রামবাংলার কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা রোপা-আমন ধান চাষের দৃশ্য। মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে সোনালি ধানের শিষ। চলতি মৌসুমে রোপা-আমন ধানের ভালো ফলনের বুকভরা আশা করছে চাষিরা। তবে ঘুর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্যান্য চাষাবাদের জমির মত আমান ধানের ক্ষেতও।
এখন মহেশখালীর মাঠে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। ধানের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে দাম থাকায় খুশি তারা।
মহেশখালী কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৮ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে।
মহেশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে আমন ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কেটে রাখা সোনালি রঙের ধান। ধান কেটে আঁটি বেঁধে সপ্তাহখানেক খোলা মাঠে ফেলে রাখছেন কৃষক। দূর থেকে দেখলে যে কারোরই মনে হবে মাঠে যেন সোনা ছড়িয়ে রয়েছে। পরে কৃষক ধানের সঙ্গে খড় শুকিয়ে তা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। মাঠ থেকে ধান তোলার সঙ্গে আলু চাষের জন্য জমিতে ফেলা হচ্ছে গোবর সার।
চলতি আমন মৌসুমে বর্ষার পানি পর্যাপ্ত ছিল। ধান কাটা-মাড়াইয়ে বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে কৃষকের ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। যদি ধানের দাম সরকার বাড়ায় তাহলে লাভের মুখ আরও দেখবেন বলছেন আমন চাষিরা।
উপজেলার কালারমারছড়া মারাক্ষা ঘোনা গ্রামের কৃষক ওসমান গণি বলেন, ‘এবার আমি এক কানি জমিতে আমন চাষ করেছি। আশানুরূপ ফলন হয়েছে। বর্ষার পানির উপর নির্ভর করে আমন ধান চাষ করা হয়। আমন মৌসুমে বর্ষার পানি পর্যন্ত পাইছি। আল্লাহ দিলে ফলন ভালো হয়েছে।’
ধান কাটা শ্রমিকরা জানান, ধান কাটার সময় এবার বর্ষা নেই ফলে মাঠেও কোনো পানি নেই। আমাদের ধান কাটতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আমরা ৫ জন এক সঙ্গে ধান কাটছি। দিনে দেড় থেকে দুই বিঘা জমির ধান কাটতে পারছি।
মহেশখালী উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সৌরব বলেন, মহেশখালী উপজেলায় ৮ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ক্ষেত তবে
আমন ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি কৃষক তাদের কাঙ্খিত ফলন সময় মতো ঘরে তুলবেন।