কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ গ্রামের স্থানীয় কৃষক শহিদুল ইসলাম শাহিন সারা বছরই তার জমিতে নানান ধরনের সবজি চাষাবাদ করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এবার তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে রঙিন ফুলকপি চাষ করে এ চমক দেখিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ শহিদুল ইসলাম শাহিন মিয়ার ফুলকপি খেত দেখতে এসেছেন অনেকে। কেউ কেউ রঙিন ফুলকপি হাতে নিয়ে ছবি তুলছেন। অনেকে বাগান থেকেই কপি কিনে নিচ্ছেন। সবজি খেত দেখতে আসা কয়েকজন বলেন আমারও ইচ্ছা আছে রঙিন ফুলকপি চাষ করার। এই জন্য সামনাসামনি দেখতে আসছি। ফুলকপিগুলো দেখতে খুব ভাল লাগছে।’রঙিন ফুলকপি পুষ্টিকর এবং খেতেও সুস্বাদু শহিদুল ইসলাম শাহিন তার অল্প জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে চার রঙের ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছেন । এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালিকাপ্রসাদ গ্রামের শহিদুল ইসলাম শাহিন। তিনি সারা বছরই নানা রকম শাক-সবজির আবাদ করেন। এ বছর তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে ১৭ শতক জমিতে দুই রঙের ফুলকপির বীজ রোপণ করেন।
শহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, ১৭ শতাংশ জমিতে চারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। কোন ধরনের কীটনাশক-সার ব্যবহার না করেই শুধু জৈবসার ব্যবহার করি। চারা রোপণের ৬০ থেকে ৭০ দিন পর বাগানে আসে রঙিন ফুলকপি। বর্তমানে বিক্রি শুরু করেছি । আশা করি থেকে ১ লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারব । একেকটা কপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যনÍ বিক্রি করে থাকে । পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। অনেকে চাষের জন্য পরামর্শ নিচ্ছেন। তাছাড়া বাজারে নেয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন কপি।
একই এলাকার কৃষক মোছা মিয়া জানান, আমাদের এলাকায় শাহিন মিয়ার আগে অন্য কেউ রঙিন ফুলকপির চাষ করেনি। এসব কপি আবাদে খরচ কম এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। আগামীতে আমি সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে আমার জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, শহিদুল ইসলাম শাহিন তিনি একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হয়েও পাশাপাশি শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। রঙিন ফুলকপি ও মরিচ চাষ ও করে লাভের মুখ দেখছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমাদের মাঠকর্মীরা কৃষকদের সবসময় সহযোগিতা করে থাকে।