লালমনিরহাট জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। এবারে আগাম আলুতে লাভবান হয়েছে চাষিরা ভরা মৌসুমে ও পাচ্ছেন চড়া দাম।
ভরা মৌসুমের আলুর অধিক ফলন হলেও দাম কিছুটা কম থাকে। তবে আগাম আলুর দাম থাকে তুলনামূলক বেশি। এবার ক্ষেতের আলুর ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হয়েছে চাষিরা। এই আশায় আগাম জাতের আলু চাষ করে যেমন দাম পেয়েছেন চাষিরা, ভরা মৌসুমে ও তেমন দাম পাচ্ছেন বলে জানান চাষিরা। অন্যান্য জেলার মত লালমনিরহাটে চাষিরাও ভালো ফলন পেয়েছেন আলুতে।
এদিকে বিগত বছর গুলোতে আলু আবাদে সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির ফলে উৎপাদিত আলুর খরচ বৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে বাজারে ভালো দাম না পাওয়ায় সাধারণ কৃষকরা আলুর আবাদ কমিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের আলু চাষের আগ্রহ বেড়েছে।
সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট এলাকার কৃষক জমির উদ্দীনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তিনি ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রায় ৯ লাখ টাকার আলু উৎপাদন করেন। তিনি জানান আগাম জাতের আলুতে যেমন কৃষকরা চড়া দাম পেয়েছেন এবার ভরা মৌসুমে ও তেমন দাম আছে। আগাম আলুর দাম ৩০-৩২ টাকা কেজি ক্ষেতে বিক্রি হয়েছে এবং কোল্ড স্টোরেজ জাত আলু এখনও ২৯-৩০ টাকা ক্ষেতে বিক্রি হচ্ছে। তবে তিনি প্রায় ৭০০ বস্তা উৎপাদিত আলু কোল্ডষ্টোরে রাখবেন।
সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের আমবাড়ি এলাকার কৃষক মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তিনি একবিঘা জমিতে স্টিক জাতের আলু লাগিয়ে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। তার খরচ হয়েছিল ২৫ হাজার টাকা। তবে তিনি বলেন, আলুতে ব্লাইড ভাইরাসের আক্রমণ না করলে আরো বেশি টাকা লাভবান হতেন তিনি। তিনি আরোও বলেন সার, বীজ ও কীটনাশকের দাম বেশি হলেও আলুতে লস হবেনা চাষিদের কারন আলুর ফলন ভালো হয়েছে দাম ও আশাতীত আছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন জানান এ বছর জেলায় আলু চাষ হয়েছে ৬৪৫৫ হেক্টর জমিতে ও প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে ২৫.৩৭ টন আলু উৎপাদন হয়েছে। আলুর ফলনও তুলনামুলক ভালো হয়েছে অন্যদিকে চাষিরা আলুর বাজার ভালো হওয়ায় বেশ খুশি। তিনি আরো জানান গত বছর আলুতে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এবছর বাড়ছে আলু চাষী।