রংপুরের বদরগঞ্জ পৌর শহরে ইউটিউব দেখে মালচিং পদ্ধতিতে শসা উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজার ও তার স্ত্রী মাসুমা বেগম। ওই দম্পতি বদরগঞ্জ পৌর শহরের শংকরপুর পাঠানপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। মালচিং পদ্ধতিতে শসার বাম্পার ফলনকে এরই মধ্যে পরিচিত করেছেন সাফল্যের মাধ্যমে।
উদ্যোক্তা মোস্তাফিজার ও তার স্ত্রী মাসুমা বেগম জানান, প্রথমে আমরা ইউটিউবে দেখি শসা চাষ করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে। তাই আমিও ইউটিউব দেখে দেখে চাষ করার পদ্ধতি শিখেছি। পরে রংপুরের মায়া এগ্রো ওয়ান থেকে সাবিরা ও তুশারা জাতের বীজ নিয়ে এসে দুই দাগে ৫০ শতাংশ জমিতে বীজ বপন করেন।
ইউটিউব দেখে বেড তৈরি, রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগ করে পলিথিনের মালচিং সেড দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এতে অতি বৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে ইউটিউবে জানতে পারি এ উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়। সাবিরা ও তুষারা জাতের শসা রোপণের ৬০ দিনের মধ্যে বাজারে শসা বিক্রি করা শুরু করেছি।
ওই দম্পতি আরও জানান, আমরা ডিসেম্বরের শেষের দিকে সাবিরা ও তুষারা জাতের শসার বীজ রোপন করি যাতে করে পবিত্র রমজান মাসে বিক্রি করতে পারি। ঠিক তেমনটাই হয়েছে। শসা হওয়ার প্রথমদিকে আমরা পাইকারি হিসেবে প্রায় ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। তার কয়েকদিন পরেই কিছুটা দাম কমতে শুরু করে। আমরা বেশি দামেই বিক্রি করেছি। বর্তমান বাজারে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা মন চলছে। এখনো শশা বিক্রি চলছে। আমরা শসা বিক্রি করে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় করেছি। এছাড়াও আমাদের শশা চাষ করা দেখে অনেকে উদ্যোগ নিয়েছে। আমার শসা চাষ করা দেখে পাশের ভুরিবল্লা পাড়া এলাকার মহেন্দ্র ৩০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করা শুরু করেছে। মাঝেমধ্যে আমাদের কাছে এসে পরামর্শ নেন এতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের শসা করা দেখে অন্যরাও চাষ করতে চায় ভাবতেই ভালো লাগে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সহযোগিতা পেলে আরও সাফল্য পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ওই দম্পতি।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা আফরোজ জানান, এ উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করলে অনেকে লাভবান হয়েছে। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে মাটির আর্দ্রতা ভালো থাকেন। মালচিং পদ্ধতির বিষয়ে কৃষকরা অফিসে জানতে চাইলে আমরা সহযোগিতা করছি।