ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরিশালজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে কৃষি খাতে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, শুধুমাত্র বরিশাল জেলায় ৬ হাজার ৪৪১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত বা আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে পুরোপুরি আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৮৫ হেক্টর জমির ফসল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার বাড়ির, বরিশাল জেলার উপ-পরিচালক মো. মুরাদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ পরবর্তী প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব অনুযায়ী আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১১০ কোটি টাকা হবে। তবে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
খামার বাড়ি সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলায় মোট ১৩ হাজার ৪৬৯ হেক্টর জমিতে আউশ, পান, সাক-সবজি, পেঁপে এবং কলা আবাদ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৬ হাজার ৩৬৬ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৭১ হেক্টর জমিতে আংশিক এবং ২ হাজার ৬৫ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে আক্রান্ত হয়েছে।
খামার বাড়ি, বরিশাল জেলার উপ-পরিচালক মো. মুরাদুল হাসান জানান, ২ হাজার ৩৪৯ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৮৭৯ হেক্টর জমির ফসল আংশিক এবং ৯৩৯ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয়।
এছাড়া ২ হাজার ৯৮৭ হেক্টর জমিতে পান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৭৯২ হেক্টর জমির পান আংশিক এবং ৮৯৬ হেক্টর জমির পান সম্পূর্ণভাবে আক্রান্ত বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সাক-সবজি আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৫০০ হেক্টর জমির সাক-সবজি আংশিকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া ২০০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
এছাড়া ৩৯১ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বিভিন্ন ধরনের কলা গাছ। যার মধ্যে ১০০ হেক্টর জমির কলাগাছ আংশিক ঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া সম্পূর্ণভাবে আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হেক্টর জমির ফসল।
এছাড়া ৩১২ হেক্টর জমিতে পেঁপে আবাদ হয়েছে। যেখানে ঘূর্ণিঝড়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বা আক্রান্ত হয়েছে ৫৫ হেক্টর জমির পেঁপে গাছ। এছাড়া সম্পূর্ণভাবে আক্রান্ত হয়েছে ২০ হেক্টর জমির গাছ। এসব গাছে পেঁপের ফলন ধরেছিল বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।