আল্লাহর রহমতের জান্নাত মুমিনের সেরা প্রাপ্তি। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনটি গুণের অধিকারী ব্যক্তির জন্য জান্নাত প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের হিসাবও হবে সহজ। হাদিসে পাকে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তিনটি বৈশিষ্ট্য বা স্বভাব যার মধ্যে থাকবে আল্লাহ তার হিসাব সহজ করে দেবেন এবং নিজ রহমতে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন নিবেদন করলেন- হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের বাবা-মা আপনার জন্য কুরবান হোক। সেই তিনটি বৈশিষ্ট্য বা স্বভাব কী? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাহলো-
- যে তোমাকে বঞ্চিত করেছে; তাকে তুমি দান করবে।
- যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে; তার সঙ্গে তুমি সম্পর্ক গড়বে। আর
- যে তোমার ওপর জুলুম করেছে; তাকে তুমি ক্ষমা করে দেবে।’ (তাবারানি, আত-তারগিব ওয়াত তারহিব)
সর্বোপরি কথা হলো
অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর যে ব্যক্তি অত্যাচারীকে ক্ষমা করে দেবে; তার জন্য রয়েছে পছন্দনীয় জান্নাতের ঘোষণা। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতের মহা মর্যাদাবান একটি দরজা রয়েছে। এ দরজা দিয়ে ওই ব্যক্তিই প্রবেশ করবে; যে তার ওপর জুলুমকারীকে ক্ষমা করে দেবে।’ (আল-ইহসান ইলাল ইয়াতিম, নুজহাতুল মাজালেস)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, পরকালের হিসাব সহজ হওয়ার এবং আল্লাহর বিশেষ রহমতের জান্নাতে স্থান পাওয়ার জন্য উল্লেখিত তিনটি স্বভাব নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করা। আর এতে মহান আল্লাহ মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে সহজ হিসাব ও জান্নাত দান করবেন।
পরকালে হিসাব সহজ হতে বেশি বেশি এ দোয়া করা-
اللَّهُمَّ حَاسِبْنِي حِسَابًا يَسِيرًا
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা হাসিবনি হিসাবাই ইয়াসিরা’।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার হিসাবকে সহজ করে দিন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সহজ হিসাব দান, মর্যাদা বৃদ্ধি এবং বিশেষ রহমতের জান্নাত দান করুন। আমিন।