আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটের আদেশ আজ হচ্ছে না। বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছেন। যে কারণে আজ শুনানি হবে না।
বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে সংশিষ্ট আদালতের বিচারপতি দোলন প্রধান বিচারপতির কাছে ছুটি নেন। তিনি সেখানে অসুস্থতার কারণ দেখান।
সকাল সাড়ে দশটার পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চের এক কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে এক বিচারপতির অসুস্থতার কথা জানান।
তাই আজ দ্বৈত বেঞ্চ বসবেন না। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল ওই বিচার কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন এবং আইনজীবী অনীক আর হক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী এ রিট করেন। তারা হলেন, আইনজীবী মনজুর-আল-মতিন এবং আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।
রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রুলে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি তাজা গুলির ব্যবহার কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাজা গুলি ব্যবহার না করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দ্রুত মুক্তি দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রিটে সে মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে।