গত বুধবার
(১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল নামে মানসিক ভারসাম্যহীন
এক যুবককে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দিচ্ছেন।
আজ (২০ সেপ্টেম্বর) মামলাটির
তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল
ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামিরা স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার
আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করছেন।
আদালত
সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই ৬ শিক্ষার্থী
হলেন, ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান
বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া , মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন
মিয়া , পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, গণিত বিভাগের আহসান
উল্লাহ , জিওগ্রাফির আল হসাইন সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুল আলম।
এর
আগে গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল
থেকে ওই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার
করা হয়।
এজাহার
উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর
রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের
গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের
কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের
মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি
চর-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি
মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার
নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে
উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।