আজ (০২ অক্টোবর)
শুভ মহালয়া। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরুর
প্রাক্কালে এদিন চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয় দেবী দুর্গাকে।
মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এদিন থেকেই দেবীপক্ষের শুরু। মূলত
দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও শুরু এদিন থেকে।
সনাতন
বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের
মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলা বা পালকিতে চড়ে
স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোক বা পৃথিবীতে আসবেন।
যার ফল হচ্ছে মড়ক।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব
বেড়ে যাবে। দেবী স্বর্গলোকে বিদায় নেবেন গজ বা হাতিতে
চড়ে। যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা
শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে।
পুরাণ
মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অমর হয়ে উঠেছিলেন। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত। অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ, তখন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির
সৃষ্টি করেন। তিনিই মহামায়ারূপী দেবী দুর্গা। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা।
এই জন্যেই বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসব খারাপ
শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয়।
মহালয়া
উপলক্ষ্যে আজ মহানগর সার্বজনীন
পূজা কমিটির উদ্যোগে ভোর ৬টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
মহালয়ার
আগেই শুরু হয়ে যায় প্রতিমা বানানোর কাজ। দুর্গাপূজার সময় যত এগিয়ে আসে,
মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রতিমায় তুলির শেষ আঁচড় দিতে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে কাজের ধুম পড়ে যায়।