ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাবের (ডিআইইউডিসি) আয়োজনে ‘আমিও জিততে চাই-ডিআইইউডিসি ন্যাশনাল ডিবেট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়। আজ স্কুল পর্যায়ের বিতর্ক কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দিন ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিতর্ক, কর্মশালা, থিয়েটার পারফরম্যান্স এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। তৃতীয় ও শেষ দিন ২৬ অক্টোবর ফাইনাল রাউন্ড, শো ডিবেট, নীতি সংলাপ এবং পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে উৎসব শেষ হবে।
সাভারের ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে এ ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে। ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের অধীনে এ ফেস্টিভ্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে তারা জাতীয় বিষয়গুলো নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করবে এবং নিজস্ব সৃজনশীলতা দেখাতে পারবে।
ফেস্টিভ্যালটির উদ্দেশ্য যুবকদের ক্ষমতায়ন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রচার করা। এখানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের ৬৪টি বিতর্ক দল অংশ নেবে এবং সাংস্কৃতিক ও ইন্টারেক্টিভ কার্যক্রমে যোগ দেবে। যুবদের কণ্ঠস্বর নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরার জন্য রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিরাও উপস্থিত থাকবেন।
ফেস্টিভ্যাল প্রসঙ্গে প্রধান বিচারক সুমিত কর্মকার বলেন, ‘বিতর্ক সমাজের সঠিক ও ভুল দিকগুলো তুলে ধরে, স্থবির ধারণাকে নাড়া দেয় এবং নতুন চিন্তার জন্ম দেয়।’
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির (এনএসইউডিসি) সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বিতর্ক সমাজের অন্ধকার কোণগুলো আলোকিত করে এবং বিভিন্ন মতামতকে একত্রিত করে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।’
উৎসবের প্রধান ইভেন্ট হবে পার্লামেন্টারি ডিবেট প্রতিযোগিতা, যেখানে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় দল এবং ৩২টি স্কুল দল সাতটি রাউন্ডে অংশ নেবে। বিতর্কের বিষয়গুলো হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, সড়ক নিরাপত্তা ও জাতিগত অধিকার নিয়ে। অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে"‘আমিও জিততে চাই’ শিরোনামে এক মিনিটের ভিডিও বার্তা চাওয়া হবে, যেখানে ভবিষ্যত বাংলাদেশকে তারা কীভাবে চায় তা প্রকাশ পাবে। সেরা তিনটি ভিডিও বিশেষ স্বীকৃতি পাবে। এছাড়া ‘ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র: যুব প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক নীতি সংলাপ, থিম্যাটিক কর্মশালা, থিয়েটার পারফরম্যান্স এবং কুইজ প্রতিযোগিতা হবে। প্রাক্তন বিতার্কিক ও পেশাজীবীদের নিয়ে শো ডিবেটও আয়োজন করা হবে, যেখানে যুব সম্পর্কিত নীতি বিষয়ে আলোচনা হবে।