ভারতের হিমাচল প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর জন্য নিয়ে আসা সিঙাড়া চুরির ঘটনা উদঘাটনের জন্য তদন্তে নেমেছে সিআইডি।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকুর জন্য পর্যটন হোটেল থেকে আনা হয়েছিল সামোসা (শিঙাড়া) ও কেক। কিন্তু তাঁর নিরাপত্তাকর্মীরা নাকি সেই শিঙাড়া খেয়ে ফেলেছেন। তাই গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
সিআইডি জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আনা শিঙাড়া ও কেক নিরাপত্তাকর্মীদের খাওয়ানো একটি ‘সরকারবিরোধী’ কাজ।
গত ২১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী একটি সাইবার উইং স্টেশন উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন সিআইডি সদর দপ্তরে। সেখানে তার জন্য কিছু জলখাবারের ব্যবস্থা করা হয়। একটি বিলাশবহুল হোটেল থেকে শিঙাড়া এবং কেক আনানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু সেই জলখাবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তো পৌঁছায়নি, বরং তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন পাঁচজন পুলিশ সদস্য। তাদের মধ্যে নারী ইন্সপেক্টরও রয়েছেন একজন। তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা উপপরিদর্শকের একজনকে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নিকটবর্তী হোটেল থেকে তিন বাক্স শিঙাড়া ও কেক আনার নির্দেশ দেন।
এরপর ওই উপপরিদর্শক একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এবং এক হেড কনস্টেবলকে খাবার আনার দায়িত্ব দেন। এএসআই ও হেড অব কনস্টেবল তিনটি সিল করা বাক্সে হোটেল থেকে খাবার নিয়ে আসেন এবং পরে সেটি উপপরিদর্শককে জানান।‘
ঘটনায় দোষী পাঁচ পুলিশ সদস্যের মধ্যে দুজন জানিয়েছেন, তাঁরা যখন রাজ্যের পর্যটন বিভাগের কর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন যে এই খাবারগুলো মুখ্যমন্ত্রীকে পরিবেশনের জন্য কি না, তখন তাঁরা বলেন যে, এটি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত মেনুতে নেই। এ সম্পর্কে উপপরিদর্শককেও জানান তাঁরা।
এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিজেপি নেতা রণধীর শর্মা বলেছেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে সরকার কোনো উন্নয়নমূলক কাজে আগ্রহী নয় বরং কেবল খাবারের ওপরই তাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে!’