রাগ হলো একটি আবেগ। আর যখন আমাদের পেট ক্ষুধার্ত থাকে তখন এই আবেগের পরিমাণ তুলনামুলকভাবে অনেক বেড়ে যায়। সাধারণত ক্ষুধার্ত অবস্থায় আমরা প্রচুর ক্লান্তি ও বিভ্রান্তি অনুভব করি।
গবেষণা অনুযায়ী, যখন একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তি নিজের অনুভূতির প্রতি অমনোযোগী থাকেন তখন তিনি মানসিক চাপ, ঘৃণা ইত্যাদি নেতিবাচক আবেগ বেশি মাত্রায় অনুভব করেন। আর এই সবকিছুর একমাত্র কারন হলো চিনি এবং গ্লুকোজ যা আমাদের রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞানের ভাষায়, মস্তিষ্ক গ্লুকোজের ওপর প্রায় একচেটিয়াভাবে নির্ভর করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্লুকোজ না পেলে মস্তিষ্কের ১০০ বিলিয়ন স্নায়ু কোষ নিজেদের কাজ ভালোভাবে করতে পারে না।
বিবিসির একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘এমন কিছু লক্ষণ আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যে খেতে হবে সেই সংকেত দেয় এবং আমাদের শরীর জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কোষে পৌঁছানোর মহাসড়ক হিসেবে কাজ করে। ক্ষুধা বেশি লাগলে বেশকিছু মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া ঘটে। এমনিভাবে মলিকিউলার পর্যায়ে বিভিন্ন হরমোন নিঃসৃত হয়। এগুলোর একটি ঘ্রেলিন, যা পাকস্থলীর কোষ থেকে উৎপাদিত হয়। এটি হজমের প্রক্রিয়ায় কাজ করে থাকে। যা প্রাকৃতিক যৌগ ক্ষুধার অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শরীর শক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।‘
মাথা ঘোরানো ও কাজে অমনোযোগী, দুর্বলতা এবং মেজাজ খিটখিটে হওয়া এ বিষয়গুলো দিয়ে বোঝা যায় যে আমাদের মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লুকোজ পাচ্ছে না। আর এই মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে অর্থাৎ খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য চিনি সরবরাহে ঘাটতি হলে মানুষ কোমাতেও চলে যেতে পারে।