আজ পবিত্র
শবে মেরাজ। পবিত্র শবে মেরাজ ইসলামের এক মহিমান্বিত রজনী। গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের
আকাশে রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়। সেই হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের
মধ্য দিয়ে আজ (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র মিরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম (লাইলাতুল মিরাজুন্নবী)।
শবে
মেরাজ মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতে হযরত
মুহাম্মদ (সা.) কুদরতিভাবে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই ঘটনা ইসলামের
ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় মুহূর্ত।
শবে
মেরাজ ইসলামী ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতে হযরত
মুহাম্মদ (সা.) কুদরতিভাবে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই অলৌকিক ঘটনা
মুসলমানদের জন্য নামাজ ফরজ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা।
হযরত
মুহাম্মদ (সা.) কুদরতি বাহন বোরাকের মাধ্যমে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত গমন করেন এবং সেখানে নামাজ আদায় করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন আসমান ভ্রমণ করে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত পৌঁছেন এবং মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই ঘটনাকে ইসলামে
মেরাজ বলা হয়। মেরাজের মাধ্যমে মুসলমানদের জন্য নামাজ ফরজ হওয়ার পাশাপাশি ইসলামের অনেক বিধানই স্পষ্ট হয়েছিল। এই ঘটনা মুমিনদের
জন্য আল্লাহর ক্ষমতা ও মহিমার প্রমাণ
স্বরূপ।
শবে
মেরাজের গুরুত্ব:
দৈনিক
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়া: এই রাতেই মুসলমানদের
জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ হয়েছিল।
ইসলামের
বিধানের স্পষ্টীকরণ: মেরাজের ঘটনার মাধ্যমে ইসলামের অনেক বিধানই স্পষ্ট হয়েছিল।
মুমিনদের
জন্য অনুপ্রেরণা: এই ঘটনা মুমিনদের
জন্য আল্লাহর ক্ষমতা ও মহিমার প্রমাণ
স্বরূপ।
ইমান
বৃদ্ধি: শবে মেরাজের ঘটনা ইমানকে দৃঢ় করে এবং মুমিনদের আল্লাহর প্রতি ভক্তি বাড়ায়।
শবে
মেরাজে আমরা কী করতে পারি:
নামাজ
আদায়: এই রাতে যত
বেশি সম্ভব নামাজ আদায় করা উচিত।
কুরআন
তিলাওয়াত: কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা এবং এর তাফসীর শোনা।
দরুদ
শরীফ পাঠ: হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর উপর দরুদ
শরীফ পাঠ করা।
ইবাদত-বন্দেগী: আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকা।
দান-খয়রাত: দরিদ্রদের জন্য দান-খয়রাত করা।