ঢাকার
হাতিরঝিল থেকে গতকাল (২ ফেব্রুয়ারি) এক কিশোরীর
মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এক
পুলিশ জানিয়েছে,
এই ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা উভয়েই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী, মোট পাঁচজন মিলে মেয়েটিকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ
করে এবং পরে তাকে হত্যা করে।
পুলিশের
ভাষ্যমতে, নিহত মেয়েটি দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৬ জানুয়ারি
সে কেনাকাটার কথা বলে মায়ের কাছ থেকে বের হয় এবং নিখোঁজ হয়। এরপর ১৯ জানুয়ারি তার
বাবা দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং পরবর্তীতে ২৭ জানুয়ারি একটি
মামলা দায়ের করেন।
মেয়েটিকে
হত্যার দায় স্বীকার করে আজ আদালতে ১৬৪
ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রবিন ও রাব্বি মৃধা।
সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা
মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণখান জোন) মো.
নাসিম এ-গুলশান বলেন,
“ফেসবুকের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে
রবিনের পরিচয় হয়। পরে তাকে মহাখালীর একটা বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়।”
মামলার
তদন্তে পুলিশ প্রথমে রবিন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার
করে। রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রাব্বি মৃধা
নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার
করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেয়েটি রবিনের মাধ্যমে ফেবুকে পরিচিত হয়েছিল। এরপর তাকে মহাখালীর একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে পাঁচজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে ও পরে হত্যা
করে। পরে মরদেহটি বস্তাবন্দী করে ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে
মহাখালী থেকে রিকশায় করে হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে হাতিরঝিলে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ
জানিয়েছে, রবিন একজন গাড়িচালক এবং রাব্বি মৃধার কোনো নির্দিষ্ট পেশা নেই। এই ঘটনায় জড়িত
বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।