অন্তর্বর্তীকালীন
সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ
আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে। সংশোধিত আইন মোতাবেক তদন্ত কর্মকর্তারা এখন থেকে আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়াই যেকোনো জায়গায় তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি আলামত জব্দ করতে পারবেন। এছাড়াও সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রেও
ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার
(১০ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ।
এর আগে, গত ২০ নভেম্বর
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এই অধ্যাদেশের খসড়া
অনুমোদন করা হয়।
একাত্তরে
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আবার ঢেলে সাজানো হয়েছে গত বছরে সংঘটিত
জুলাই বিপ্লবের গণহত্যার বিচারের জন্য। বিচার প্রক্রিয়াও চলছে পুরোদমে। এরই মধ্যে সংশোধন করা হলো এ সংক্রান্ত আইন।
‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ২০২৫’ নামের এই আইনের ৪,
৮, ৯, ১১, ১২
ও ১৯ নম্বর ধারা
সংশোধন করা হয়েছে।
পূর্বের আইন
অনুযায়ী, তদন্তকারী কর্মকর্তা
প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে তল্লাশি ও আলামত জব্দ
করতে পারতেন। তবে, নতুন সংশোধনীতে এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে।
আগের
আইনে বিচার শুরুর ৬ সপ্তাহ আগে
সাক্ষীর তালিকা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপনের বিধান ছিল। সংশোধনের মাধ্যমে এই সময়সীমা কমিয়ে
তিন সপ্তাহ করা হয়েছে।
এ
ছাড়া আইনের ১১ নম্বর ধারায়
একটি উপধারা যোগ করে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল আসামির সম্পদ অবরুদ্ধ বা জব্দের আদেশ
দিতে পারবেন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সেই সম্পদ ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
আগের
আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের মামলার প্রতিবেদনসহ নথিকে গোপনীয় রাখা হয়েছিল। সংশোধনে নতুন সংযোজন হিসেবে অভিযোগকেও গোপনীয় রাখার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
১৯
নম্বর ধারায় একটি নতুন উপধারা যোগ করে বলা হয়েছে, আইনে যা কিছু থাকুক
না কেন, ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্যের কারিগরি নিয়ম দ্বারা আবদ্ধ থাকবেন না এবং দ্রুত
ও অ-কারিগরি পদ্ধতি
গ্রহণ ও প্রয়োগ করতে
পারবেন।