শতাব্দীর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা এক নতুন অভিযাত্রার সুর বুনছি। ফেলে আসা দিনগুলোর পদচ্ছাপের পাশে আজ অসংখ্য অর্জনের পালক হাতে আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছি। সাফল্যের ডানা আমাদের প্রেরণা দেয়, কর্মের দৃঢ়তা আমাদের অন্ধকার ভাঙার শক্তি দেয়। হামদর্দ তার প্রতিটি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের কল্যাণের কথা ভেবে যে মহৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা নিঃসন্দেহে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
হামদর্দ সার্ভিস রুল ২০১২ পুনঃপ্রবর্তনের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত কর্মীদের শুধু নিয়ম-কানুনের বাঁধনে আবদ্ধ করেনি, বরং তাদের জন্য একটি নিরাপদ, স্বচ্ছ, এবং কল্যাণমুখী পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। এটি আমাদের শুধু কাজের নীতিমালা দেয়নি, বরং আমাদের জন্য প্রতিষ্ঠানের ভালোবাসা, স্নেহ, এবং মূল্যায়নের এক জ্বলন্ত সাক্ষ্য হয়ে উঠেছে। একজন কর্মীর সবচেয়ে বড় চাওয়া হলো তার প্রতিষ্ঠানের কাছে মর্যাদা পাওয়া, ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান হামদর্দ সেই মর্যাদা এবং নিরাপত্তার বার্তা আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিস্থাপন করেছে।
এই মহতী উদ্যোগের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের প্রিয় অভিভাবক, হামদর্দের মাননীয় চীফ মোতোয়াল্লী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকিম মো. ইউসুফ হারুন ভূঁইয়া স্যারের প্রতি। তিনি শুধু একজন প্রশাসক নন, তিনি আমাদের জন্য এক আশ্রয়স্থল, এক অভিভাবক, যিনি আমাদের ভালোবাসেন, আমাদের স্বপ্নের মূল্য বোঝেন, এবং আমাদের উন্নতির জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালান। কর্মীদের কল্যাণে একজন প্রতিষ্ঠানের প্রধান কতটা নিবেদিত হতে পারেন, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ তিনি। আমাদের কর্মজীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে, প্রতিটি সংকট মুহূর্তে তিনি আমাদের পাশে ছিলেন, আছেন, এবং থাকবেন—এই বিশ্বাসই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
স্যার সবসময় আমাদের শেখান যে পরিশ্রম কখনো ব্যর্থ হয় না, কাজ কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয় না। আজ তার সেই অমোঘ বাণী আমাদের জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে। তার দিকনির্দেশনা, তার প্রজ্ঞা, এবং তার সঠিক সিদ্ধান্ত আমাদের কর্মীদের নতুন আশার আলো দেখিয়েছে। কাজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার জন্য, শ্রমের মূল্যায়ন নিশ্চিত করার জন্য তিনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, তা সত্যিই অতুলনীয়।
হামদর্দ শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি পরিবার। আর এই পরিবারের প্রধান হিসেবে ড. হাকিম মো. ইউসুফ হারুন ভূঁইয়া স্যার আমাদের সকলকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছেন। আমাদের স্বপ্ন, আমাদের আকাঙ্ক্ষা, আমাদের প্রতিটি শ্রম যেন সঠিক মূল্যায়ন পায়—তিনি সেই দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। তার নেতৃত্বে হামদর্দ এগিয়ে যাচ্ছে নতুন উচ্চতায়, প্রতিনিয়ত গড়ে তুলছে মানবতার সেবায় নিবেদিত এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
এই মহৎ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমরা কৃতজ্ঞ সম্মানিত ম্যাডাম-এর প্রতিও, যিনি নিঃসন্দেহে আমাদের কল্যাণের অংশীদার। কর্মীদের কল্যাণে তার অবদান, তার সহানুভূতি, এবং তার আন্তরিক প্রচেষ্টা আমাদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আজ আমরা যারা কর্মরত আছি, তারা জানি যে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পেছনে একজন শক্তিশালী শুভাকাঙ্ক্ষীর ভূমিকা ছিল, যিনি নীরবে আমাদের পাশে থেকেছেন, আমাদের জন্য কল্যাণ নিশ্চিত করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।
আমরা প্রার্থনা করি, মহান আল্লাহ যেন মাননীয় এমডি স্যার ও সম্মানিত ম্যাডামকে সুস্থ, সুন্দর, এবং দীর্ঘ জীবন দান করেন। তারা যেন হামদর্দের উন্নতির জন্য আরও বহু বছর আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে যেতে পারেন। এই প্রতিষ্ঠানকে যেন আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, যেন হামদর্দ মানবতার সেবায় এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে থাকে।
আমরা হামদর্দ কর্মীরা আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, স্যারের নেতৃত্বে আমরা এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করবো। আমরা জানি, আমাদের দায়িত্ব শুধু চাকরি করা নয়, বরং এই মহান প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষা করা, এর অগ্রযাত্রায় অবদান রাখা। কারণ হামদর্দ আমাদের শুধু জীবিকা দেয়নি, আমাদের আত্মমর্যাদার অনুভূতি দিয়েছে, আমাদের পরিবারের সদস্যের মতো আগলে রেখেছে।
স্যার, আপনার প্রতি আমাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং কৃতজ্ঞতা কখনো ফুরাবে না। আপনি আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের আশ্রয়স্থল, আমাদের ভবিষ্যতের রূপকার। মহান আল্লাহ আপনাকে সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন দান করুন, হামদর্দের এই অগ্রযাত্রা আপনার নেতৃত্বে আরও বহুদূর এগিয়ে যাক—এই কামনা করি। আমিন।