× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

দাম কম থাকায় মাঠেই নষ্ট হচ্ছে আলু

বরগুনা প্রতিনিধি

৩০ মার্চ ২০২২, ১০:৫২ এএম

বরগুনার পাথরঘাটায় ক্রেতার অভাবে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার মণ আলু। ফলন ভালো হলেও হিমাগার না থাকায় আলু সংরক্ষণ করতে পারছেন না চাষীরা। এতে লাভতো দূরে কথা, আলু আবাদের খরচটুকু না ওঠার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। তবে স্থানীয় বাজারে এসব আলু বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিপনন বিভাগ।

চলতি বছর বরগুনায় আলুর বীজ বপনের পর অকাল বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায় অসংখ্য বীজ। এরপর পূণরায় বীজ বপন করতে হয় চাষীদের। ফলে এ বছর বরগুনায় আলু আবাদে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে তাদের। এরপর ফলন ভালো হলেও এখন ক্রেতার অভাবে এভাবেই ক্ষেতেই স্তুপ করে ফেলে রাখা হয়েছে আলু।

আবার খরচের ভয়ে অনেকে আলু তুলছেন না জমি থেকে। এর ফলে বরগুনার পাথরঘাটায় নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে কয়েক হাজার মণ আলু। একদিকে ক্রেতা নেই, তার উপরে নেই সংরক্ষণ করার হিমাগার। তাই আলু নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই কৃষকের।

পাথরঘাটার রূপধণ ও কামার হাট গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলুর ক্ষেতগুলোতে স্তুপ করে রাখা হয়েছে সদ্য তোলা আলু। কোন কোন স্তুপের আলুতে পচনধরা শুরু করেছে। কোথাও আবার দেখা দিয়েছে ছত্রাকের আক্রমণ। আলুর ফলন বেশি হওয়ায় দাম কম হলেও ক্রেতা সমাগম নেই। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষীরা। একারণে এখন পর্যন্ত আলু তোলেননি অনেক চাষী।

পাথরঘাটার রূপধন ও কামারহাট গ্রামের খলিলুর রহমান, মালেক, টুকু, শাহিন সহ কয়েকজন চাষী জানান, প্রথমে আমরা আলুর বীজ লাগিয়েছিলাম। অকাল বৃষ্টিতে সব বীজ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর দ্বীগুণ খরচে পুনরায় জমি চাষ করে আলু আবাদ করি। আমাদের আলুর ব্যপক ফলন হয়েছে। কিন্ত ক্রেতা ও সংরক্ষণ যায়গা না থাকায় মাঠেই পঁচে যাচ্ছে আলু।

রূপধন এলাকার চাষী আবদুর রব বলেন, আলুর ফলন ভালো হলেও বিক্রি করতে পারছিনা। কম দাম হলেও কিনছেন না ক্রেতারা। আমার প্রায় ৪৫/৫০ মণ আলু স্তুপ করা রয়েছে। কোন কোন স্তুপে পচন শুরু হয়েছে। ক্ষেতে আরও আলু আছে। ওসব আলু উঠাতে শ্রমিকদের টাকা দিতে হবে, তাই আলু উঠানো হয়নি, কারন আমাদের বিক্রি নেই। আমাদের আলুগুলো সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই।

কামার হাট গ্রামের চাষী শাহআলম বলেন, আল্লাহর রহমতে আলুর ফলন বেশ ভালো। কিন্তু কম দামে দিলেও আলু কেউ নিচ্ছে না। আমাদের এখানে আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নেই। হিমাগার থাকলে আলুগুলো পচাতে হত না।

এখন আমার আলু মাঠেই নষ্ট হচ্ছে। আমাদের এখানে হিমাগার থাকলে গরীব চাষীরা লাভবান হতাম।

জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা আবদুস সালাম কবির  বলেন, উপজেলায় ব্যপক আলুর ফলন হয়ছে। ক্রেতা সমাগম কম থাকলেও পাথরঘাটায় উৎপাদিত আলু শিগগিরই স্থানীয় বাজারে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হবে।

বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সৈয়দ জোবায়দুল আলম বলেন, বগুনায় প্রতিবছর ব্যপক পরিমানে আলুর ফলন হয়। কিন্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় মাঠেই পঁচে যায় আলুগুলো। এতে লোকসান হচ্ছে কৃষকদের।  হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা গেলে বরগুনার উৎপাদিত আলু দিয়েই পার্শবর্তী জেলাগুলোর চাহিদা মেটানো সম্ভব হত। আমি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে এব্যাপারে কথা বলবো।

জেলায় এ বছর এক হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে আলু আবাদ হয় এক হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শুধু পাথরঘাটা উপজেলায় আলু আবাদ হয় পাঁচ শ ৬০ হেক্টর জমিতে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.