নারীদের বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় (STEM) সম্পৃক্ত করতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে SheSTEM এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপ। রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শনিবার এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এই অংশীদারিত্বের আওতায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতে অধ্যয়নরত ১২০ জন নারী শিক্ষার্থী ওয়ালটনের হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি-তে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। এতে একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি শিল্পখাতে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন অংশগ্রহণকারীরা।
SheSTEM প্রকল্পটি লাইটক্যাসেল পার্টনার্সের নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে সহযোগী হিসেবে রয়েছে টেন মিনিট স্কুল, এটুআই, ডেভেলান্ট কনসালটিং এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ।
ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের প্রধান কার্যনির্বাহী এবং ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক নিশাত তাসনিম সূচি বলেন, নারীদের STEM-এ সম্পৃক্ত করা শুধু সুযোগ দেওয়া নয়, বরং তাদের পথ প্রশস্ত করা। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিক্ষা ও শিল্পের মধ্যে সংযোগ আরও দৃঢ় হবে।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (মানবসম্পদ) কাওসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই উদ্যোগটি নারীদের ক্ষমতায়ন এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ দক্ষতা বিকাশের একটি মাইলফলক।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে STEM শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২১% নারী হলেও, পেশাগত ক্যারিয়ারে টিকে থাকা নারীর হার এক শতাংশেরও কম। এই প্রেক্ষাপটে প্রকল্পটি নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, পরামর্শ প্রদান এবং বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ারে সহায়তা করবে।
নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন থাইস উডস্ট্রা বলেন, বাংলাদেশের বিশাল জনসংখ্যা ও ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড নারীদের শ্রমশক্তিতে সম্পৃক্ত করার বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন, SheSTEM এবং প্রকল্পের অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। লাইটক্যাসেল পার্টনার্সের সিইও বিজন ইসলাম বলেন, ওয়ালটনের সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগ কেবল ভবিষ্যতের প্রতিভা তৈরিতে নয়, বরং রাষ্ট্রের সমস্যার যৌথ সমাধানে একটি মডেল তৈরি করবে।