সূর্যোদয়ের রক্তিম আভা যখন দিগন্তে নতুন দিনের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে, তখনো কি আমরা ভুলে যাই রাতের আঁধারে যারা বিনিদ্র প্রহর কাটিয়েছিল? ভুলে যাই সেইসব ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের গল্প, যা দিনের আলো ফুটিয়েছে? ঠিক তেমনই, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এমনই এক নতুন ভোরের আগমনী বার্তা, যা সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ, সাহস আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির ফল।
এই আন্দোলন কোনো আরোপিত সংগ্রাম ছিল না, বরং ছিল মাটির গভীরে প্রোথিত শোষণের বিরুদ্ধে এক স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহ। যখন নিপীড়নের কালো মেঘে আকাশ ঢেকে গিয়েছিল, ঠিক তখনই অসংখ্য সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-শিক্ষক নির্বিশেষে রাস্তায় নেমে এসেছিল একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে। তাদের প্রতিটি স্লোগান, প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে এক বজ্রঘোষণা। অথচ, আজ সেই মহান অর্জনকে শুধুমাত্র কিছু রাজনৈতিক দলের কৃতিত্ব হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে, যা জনগণের আত্মত্যাগকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করার শামিল। এই উপেক্ষা কেবল বঞ্চনার অনুভূতি তৈরি করে না, বরং দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এক ভুল ইতিহাস উপস্থাপন করে, যেখানে সাধারণ মানুষের অবদান অনুচ্চারিত থেকে যায়।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল এক অভূতপূর্ব জাগরণ, যেখানে সাধারণ মানুষের ঘাম ঝরানো পরিশ্রম আর বিদ্রোহী চেতনা একাকার হয়ে গিয়েছিল। এটি কোনো পূর্বপরিকল্পিত রাজনৈতিক কৌশল ছিল না, বরং ছিল দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ আর বঞ্চনার স্ফুলিঙ্গ যা দাবানলের আকার ধারণ করেছিল। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা এবং তাদের দেখানো পথেই অর্জিত হয়েছিল এই নতুন ভোরের ইঙ্গিত। শ্রমিকের ঘামের লবণাক্ত জলে মিশেছিল কৃষকের স্বপ্ন, আর শিক্ষার্থীর প্রতিবাদী কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল সমগ্র জাতির আকাঙ্ক্ষা। তাদের আত্মত্যাগেই স্বাধীনতার সূর্য যেন নতুন করে উদিত হয়েছিল, কেননা এই আন্দোলন দেশের প্রতিটি স্তরে এক নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে, এই মহান অর্জনকে এখন শুধুমাত্র রাজনৈতিক কেন্দ্রিক অর্জন হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। যেন এই বিজয় কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক নেতার একক কৃতিত্ব, যেখানে লাখ লাখ সাধারণ মানুষের অবদান সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত।
এই উপেক্ষা কেবল হতাশাজনক নয়, বরং এটি জনগণের মধ্যে গভীর বঞ্চনার অনুভূতি তৈরি করছে। একজন রিকশাচালক, যিনি দিনের পর দিন আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন; একজন গার্মেন্টসের কর্মী, যিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে নেমেছেন; অথবা একজন কৃষক, যিনি তার ফসলের উৎপাদন ব্যাহত করেও আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন—তাদের এই আত্মত্যাগ কি মূল্যহীন? যখন তাদের অবদানকে অস্বীকার করা হয়, তখন তাদের মনে এই প্রশ্নটিই জাগে: "তবে কি আমাদের এই সংগ্রাম বৃথা?" এই প্রশ্নটি শুধু একটি প্রশ্ন নয়, এটি সমাজের প্রতিটি স্তরে এক গভীর ক্ষত তৈরি করে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের সামাজিক কাঠামোকে দুর্বল করে দেয়। জনগণের এই নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতি এবং সম্মান নিশ্চিত করা কি আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব নয়? বস্তুত, এই স্বীকৃতি কেবল নৈতিক দায়িত্বই নয়, এটি দেশের স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য। যদি জনগণের অবদানকে স্বীকার করা না হয়, তবে ভবিষ্যতে কোনো সংকটকালে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করা কঠিন হবে। এটি এক ধরনের সামাজিক চুক্তি ভঙ্গ করার মতো, যেখানে রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আস্থা ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে।
যদি এই সমস্যাটির সমাধান না হয়, তবে এর ভবিষ্যৎ পরিণতি হতে পারে অত্যন্ত ভয়াবহ, যা দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কাঠামোতে গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যখন সাধারণ মানুষের অবদানকে অবজ্ঞা করা হয়, তখন তাদের মধ্যে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতাবোধ তৈরি হয়। এই বিচ্ছিন্নতাবোধ ধীরে ধীরে রাষ্ট্র এবং জনগণের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন কৃষক তার অধিকারের জন্য লড়াই করে এবং সেই লড়াইয়ের ফলস্বরূপ অর্জিত সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়, তবে ভবিষ্যতে সে আর কোনো সামাজিক বা জাতীয় আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে আগ্রহী হবে না। এই অনীহা শুধুমাত্র সামাজিক স্থিতিশীলতাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, বরং দেশের উন্নয়নের গতিকেও শ্লথ করে দেবে।
প্রতিটি সেক্টরের মানুষের জীবনে এর প্রভাব ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হবে। শিক্ষা খাতে, শিক্ষার্থীরা যখন দেখবে যে তাদের পূর্বসূরিদের আত্মত্যাগ সঠিকভাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে না, তখন তাদের মধ্যে দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং দেশপ্রেমের অনুভূতি কমে যেতে পারে। এটি তাদের মননে এক ধরনের হতাশা তৈরি করবে, যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাজীবনে প্রভাব ফেলবে। অর্থনৈতিকভাবে, শ্রমিক এবং পেশাজীবীরা যদি মনে করে যে তাদের শ্রম ও অবদানকে রাষ্ট্র মূল্য দিচ্ছে না, তবে তাদের উৎপাদনশীলতা কমে যেতে পারে এবং তারা নতুন কোনো উদ্যোগ গ্রহণে নিরুৎসাহিত হতে পারে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে এবং দারিদ্র্য আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সামাজিকভাবে, এই উপেক্ষা সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করবে এবং শ্রেণিগত বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। যখন সমাজের একটি বৃহৎ অংশ নিজেদের বঞ্চিত মনে করবে, তখন তাদের মধ্যে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস জন্মাবে, যা সামাজিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এর দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে, কারণ জনগণ যখন মনে করবে তাদের অধিকার উপেক্ষিত, তখন তারা আইন অমান্য করার প্রবণতা দেখাতে পারে। এই সমস্যাটি যদি সমাধান না হয়, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এমন একটি দেশে বেড়ে উঠবে, যেখানে আত্মত্যাগের কোনো মূল্য নেই, এবং যেখানে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর চিরকাল অনুচ্চারিত থেকে যায়।
বর্তমান এই দুর্বিষহ বাংলাদেশের সংস্কারের দায়িত্ব যেন নিজ আগ্রহেই কাঁধে তুলে নিয়েছে স্কুলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং বাংলাদেশ আর্মি, এয়ার ফোর্স, ফায়ার সার্ভিস, এবং অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ। এই সংকটকালে তাদের ভূমিকা এক নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, স্কুলের শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ না থেকে, সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তারা নিজেদের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করছে, এবং সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সোচ্চার হচ্ছে। তাদের এই ছোট ছোট উদ্যোগগুলো সম্মিলিতভাবে এক বৃহৎ পরিবর্তনের সূচনা করছে। একটি ছোট্ট গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থী যখন তার এলাকার রাস্তা সংস্কারের জন্য নিজ উদ্যোগে তহবিল সংগ্রহ করে, তখন তা সমগ্র সমাজে এক নতুন চেতনার সঞ্চার করে।
পাশাপাশি, বাংলাদেশ আর্মি, এয়ার ফোর্স, ফায়ার সার্ভিস এবং অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ শুধুমাত্র দেশের নিরাপত্তা রক্ষায়ই নয়, বরং সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যখন বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ বিপর্যস্ত হয়, তখন এই ফোর্সের সদস্যরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়, ত্রাণ বিতরণ করে, এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সহায়তা করে। তাদের এই কার্যক্রমগুলো জনগণের মধ্যে আস্থা ও ভরসা ফিরিয়ে আনছে। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক বন্যায় বাংলাদেশ আর্মির সদস্যরা দুর্গম এলাকায় পৌঁছে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে এবং অনেক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছে, যা সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর কৃতজ্ঞতার সৃষ্টি করেছে। ফায়ার সার্ভিস শুধু আগুন নেভানোর কাজেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এবং প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেও জনসেবা করছে।
এই সকল উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ সম্মিলিতভাবে এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছে, যেখানে সরকার, জনগণ এবং বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। এই সহযোগিতা ভবিষ্যতের সমাজের উন্নতিতে এক অসাধারণ উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে। যখন একটি স্কুল শিক্ষার্থী তার এলাকার সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে, তখন তা সমাজের প্রতিটি স্তরে অনুপ্রেরণা যোগায়। তেমনি, যখন সেনাবাহিনী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়, তখন তা প্রমাণ করে যে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। এই উদ্যোগগুলো প্রমাণ করে যে, সাধারণ মানুষের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি, সকল স্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন সম্ভব।
জনগণের ঘাম ঝরা অর্জনকে স্বীকৃতি না দেওয়ার এই সমস্যাটি নিঃসন্দেহে গভীর এবং এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। তবে, এটি একটি সমাধানযোগ্য সমস্যা, এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এর সমাধান সম্ভব। প্রয়োজন শুধু গভীর চিন্তা, সদিচ্ছা এবং একটি সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ। প্রথমত, রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই এই বাস্তবতা অনুধাবন করতে হবে যে, কোনো আন্দোলন বা বিপ্লব কেবল কিছু নেতার একক প্রচেষ্টায় সফল হয় না, বরং এর পেছনে থাকে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম, আত্মত্যাগ এবং দৃঢ় মনোবল। এই সত্যকে মেনে নিয়ে তাদের অবশ্যই জনগণের অবদানকে প্রকাশ্যে স্বীকার করতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। একটি জাতীয় স্বীকৃতির উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে, যেখানে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষের অবদানকে স্মরণে রেখে বিভিন্ন স্মারক স্থাপন বা সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।
দ্বিতীয়ত, ভবিষ্যতের জন্য একটি সুস্পষ্ট রোড ম্যাপ তৈরি করা উচিত, যা আকস্মিক দুর্ঘটনা বা সংকটে জনগণের ভূমিকা এবং তাদের অবদানকে গুরুত্ব দেবে। এই রোড ম্যাপে এমন নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা নিশ্চিত করবে যে যেকোনো জাতীয় অর্জনে জনগণের ভূমিকাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে এবং তাদের অবদানকে নথিবদ্ধ করা হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় এই আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যেখানে শিক্ষার্থীদের সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানানো হবে। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেশের প্রতি আরও বেশি দায়বদ্ধ হবে এবং নিজেদের অংশীদার মনে করবে। বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, যেমন সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি সমন্বিত কার্যক্রমের কাঠামো তৈরি করা জরুরি, যাতে যেকোনো সংকটকালে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সাড়া দেওয়া যায়। এই সমন্বয় শুধু সমস্যা সমাধানই করবে না, বরং জন আস্থাও বৃদ্ধি করবে।
পরিশেষে, আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি জাতির প্রকৃত শক্তি নিহিত থাকে তার জনগণের ঐক্য এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধায়। যখন জনগণের অবদানকে সম্মান করা হয়, তখন তাদের মধ্যে দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ আরও গভীর হয়। এটি এমন একটি সমস্যা যা সমাধানযোগ্য, এবং এটি সম্ভব যদি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। একটি সুন্দর, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য এই পদক্ষেপগুলি অপরিহার্য। আসুন আমরা সেই দিনের স্বপ্ন দেখি, যখন প্রতিটি ঘাম ঝরানো অর্জন, প্রতিটি আত্মত্যাগ সম্মানিত হবে, এবং কোনো সাধারণ মানুষের অবদান আর উপেক্ষিত থাকবে না। "যখন তোমার নীরব কান্না রাতের আঁধারে মিশে যায়, আর দিনের আলোয় তোমার আত্মত্যাগ চাপা পড়ে, তখন মনে রেখো—তোমার ঘাম ঝরানো মাটির প্রতিটি কণা নতুন ভোরের সূর্যোদয়ের প্রতিশ্রুতি!"
সংক্ষিপ্ত জীবনী :
ডঃ তারনিমা ওয়ারদা আন্দালিব, বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইমপ্যাক্ট গ্রুপে গ্লোবাল কনসালট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন।
দাউদ ইব্রাহিম হাসান, বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় একজন রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট এবং সেই সাথে আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি-এর মার্কেটিং বিভাগের একজন সদস্য।