ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জনস্বার্থ রক্ষায় রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও অডিট ফার্মের নিরীক্ষায় ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু অসঙ্গতির চিত্র উঠে আসে। এই পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগ নেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৯ আগস্ট) ব্যাংকটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানন হয়েছে, মূল্যায়নের অংশ হিসেবে ব্যাংক ১ হাজার ৪১৪ জন কর্মকর্তাকে পরীক্ষার আওতায় আনে, যা পরিচালিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)-এর মাধ্যমে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮৬৪ জন কর্মকর্তাকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়।
অন্যদিকে, ন্যূনতম নম্বর না পাওয়ায় ৫৪৭ জন কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ও ব্যাংকের চাকরি বিধি অনুযায়ী মানবিক প্রক্রিয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া ৩ জন কর্মকর্তা পরীক্ষার পর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
এই সংস্কার কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকের জনসম্পদের মানোন্নয়ন ও ভবিষ্যতের জন্য একটি সুদৃঢ় ভিত্তি গড়ে তোলা। তবে চাকরিচ্যুত কিছু কর্মকর্তা ২৮ জুলাই থেকে প্রধান কার্যালয়ের সামনে আকস্মিক অবস্থান নেন এবং দৈনিক বাংলা মোড়ে ব্যাংকের প্রবেশদ্বার অবরোধ করেন। আন্দোলনকারীদের শোরগোল ও মারমুখী আচরণে ব্যাংকের কার্যক্রম ও জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) আন্দোলনকারীরা সুরমা টাওয়ারে কর্মরত ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালান।
এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (৩ জন), মানবসম্পদ বিভাগের প্রধানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা অবরুদ্ধ ও লাঞ্ছিত হন। মানবসম্পদ প্রধান শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং নিরাপত্তাকর্মীদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।