জাপানে কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচন হওয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মীদের কাজের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে ‘জাপানি ভাষা শিক্ষা ট্রেনিং সেন্টার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়) সিলেট মহানগর জিন্দাবাজার এলাকার আনন্দ ভবনে এসপি এডুকেশন আর আর গ্রুপের যৌর্থ পরিচালনায় এ ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আর আর গ্রুপের সিইও এণ্ড ফাউন্ডার মো. রবিউল ইসলাম।
আরও বক্তব্য রাখেন আর আর গ্রুপের পরিচালক ভিপি দুলাল বর্মন,মো. ইউনূস মল্লিক, উপ-পরিচালক মো. শাহ আলম এবং এসপি এডুকেশনের চেয়ারম্যান আবদুল আহাদ সুফি, সিলেট মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুদ ইলাহি চৌধুরী ও এসপি এডুকেশনের সিইও সুমাইয়া তালুকদার।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নেক্সট সলিউশনের (সি ও ও) চিফ অপারেটিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জাবেদ। সঞ্চালনা করেন সালমান আহম্মেদ। এ সময় আর আর গ্রুপের সিইও এণ্ড ফাউন্ডার মো. রবিউল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশে জাপানি ভাষা শিক্ষার সুযোগ আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। দেশের কর্ম দক্ষ মানুষ এই প্রশিক্ষণের পর জাপানে গেলে কোনো সমস্যার মধ্যে পড়বে না। ফলে
জাপানে কর্মসংস্থানে নিজেদের সহজেই মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে। বিএমইটির তথ্য মতে, জাপানে অনুমোদিত ৯৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে মাত্র ৩০টি রিক্রুটিং এজেন্সি প্রতি বছর কর্মী পাঠাচ্ছে। ২০০৪ থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ২০ বছরে মাত্র পাঁচ হাজার ১৪ জন কর্মী জাপান যেতে পেরেছেন। বিএমইটির তথ্য বলছে, আইএম জাপান নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭০২ কর্মী জাপানে গেছেন।
জাপানে যাওয়ার জন্য যে যোগ্যতা প্রয়োজন বেশিরভাগ কর্মী তা অর্জন করতে পারেন না। এজন্য খুব কম সংখ্যক কর্মী জাপান যেতে পেরেছেন বলে মনে করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
তাদের ভাষ্যমতে, জাপানে যেতে হলে কর্মীদের একদিকে যেমন জাপানি ভাষা শিখতে হয়, অন্যদিকে যে কোনো একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হয়। জাপানের নিয়মনীতি খুবই কঠোর। অন্য দেশের সঙ্গে জাপানকে মেলানো যায় না। তাদের মানের সঙ্গে না মিললে তারা লোক নেয় না। তারা কখনো অদক্ষ লোক নেয় না। দক্ষ শ্রমিক ছাড়া জাপানে যাওয়া অসম্ভব।