জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমনে শেখ হাসিনার বিষয়ে ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে। ছাত্র-জনতার ওপর হেলিকপ্টার থেকে বোমা ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা হাসানুল হক ইনুর ফোনালাপ এসব তথ্য নিশ্চিত হয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) আদালতে এই ফোনালাপ দাখিল করা হয়। ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দিতে আসা জুলাই যোদ্ধা ও স্বজন হারানোদের বয়ানেও মিলেছে অকাট্য প্রমাণ।
এ দিন জেরার মুখোমুখি হন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক জুনাইদ ও সাক্ষ্য দেন জুলাইয়ে শহীদ সৈকতের বড় বোন। বর্বর হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তারা শেখ হাসিনার ফাঁসি চান।
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ জানান, ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে অনেককে হত্যা ও জখম করেছিল পুলিশ। আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সেও গুলি করা হয়।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মোহাম্মদ পুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সৈকত। সৈকতের বড় বোন সোমবার দুপুরের পরে সাক্ষ্য দেন। ভাই হত্যার বর্ণনা করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সরকারের শরিক জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে ফোনালাপ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ফোনালাপের অডিও সোমবার ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের দাখিল করা হয়।
এ দিকে জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যায় সপ্তম দিনের সাক্ষ্য ও জেরা হয় ট্রাইব্যুনাল ২-তে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ হবে রোববার।