গত ১০ অক্টোবর রোজ শুক্রবার আমার দেশ পত্রিকায় শেষের পাতায় ৫ কলামে "ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল রোগী বেসরকারিতে পাঠিয়ে কমিশন নেন চিকিৎসক" শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
সংবাদে আমাকে সামাজিক ও প্রফেশনাল ক্যারিয়ারে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল প্রতিবেদককে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করে। প্রকৃত সত্য হলো ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের আমি একজন সহকারী অধ্যাপক ও স্বনামধন্য নিউরোসার্জন।
অনেক জটিল রোগী আমার মাধ্যমে অপারেশন করে চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ্য আছেন। যে কোন সার্জারীতে কম্প্লিকেশন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়, ১০০০ রোগী অপারেশন করলে ১ জনের ছোট খাট ইনফেকশন/ কম্প্লিকেশন হতেই পারে।
সরাসরি কোন হাসপাতালে রোগী পাঠানোর ও রোগী পাঠায়ে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের নিকট থেকে কমিশনের কোন সত্যতা নেই। এই অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এই অভিযোগের সত্যতা পেলে আমি সরকারী চাকরি থেকে ইস্তফা দিবো। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মানহানিকর। ময়মনসিংহ থেকে আগত একরোগী(তাসলিমা), কোমরের সমস্যার কারনে প্রশ্রাব ও পায়খানা জনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভোগে নিউরোসায়েন্সেস ভর্তি বিলম্ব দেখে স্বপ্রণোদিতভাবে আমার চেম্বারে আসে, রোগীর চিকিৎসার সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা করে আমার দ্বারা অপারেশন করতে রাজি হয়।
অপারেশন শেষে রোগী সুস্থ হয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরে যায়। যার ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্যমান। সুতরাং কাউকে জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রইভেটে অপারেশন করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ডা. মো. বশীর আহম্মেদ
সহকারী অধ্যাপক ও আবাসিক সার্জন
নিউরো সার্জারি বিভাগ
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল