কর্মসংস্থান ব্যাংক কর্তৃক "তারুণ্যের উৎসব ২০২৫' উপলক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক ১৯ অক্টোবর ০২ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত গৃহীত Flagship প্রোগ্রাম "গ্রাহক সেবা পক্ষ' এর উদ্বোধন ১৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. এ এফ এম মতিউর রহমান কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন এবং ০৪ জন নতুন তরুণ উদ্যোক্তার মধ্যে ঋণের চেক বিতরণ করেন।
সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক অরুন কুমার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহের সুলতানা, অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো: মামুনুর রশীদ, মহাব্যবস্থাপক মাহমুদা ইয়াসমীন , মো: শফিকুল ইসলাম মিঞাসহ প্রধান কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঋণ ও অগ্রিম বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো: মশিউর রহমান সভা সঞ্চালনা করেন।
পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. এ এফ এম মতিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে গ্রাহক সেবা পক্ষ সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। গ্রাহক সেবা পক্ষ উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি রাখার মাধ্যমে সকল গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি আদায়ের পরামর্শ প্রদান করেন। এ সময় তিনি দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার পরামর্শ প্রদান করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এ সময়ে উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি গ্রাহকদেরকে ব্যাংকের সম্পদ উল্লেখ করেন এবং উন্নত সেবা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। গ্রাহক সেবা পক্ষকে সফল করতে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গা হতে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের মাধ্যমে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো: মামুনুর রশীদ তার বক্তব্যে উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে সমাজ, দেশের পরিবর্তনের আহবান জানান। শুধু সেবা পক্ষই নয়, বছরের প্রতিটি দিন সেবা প্রদানের মাধ্যেমে গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জনের পরামর্শ প্রদান করেন। গ্রাহক সেবা উন্নয়নের মাধ্যেমে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার আহবান জানান।
গ্রাহক সেবা পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কর্মসংস্থান ব্যাংকের সকল বিভাগীয় কার্যালয়, বিভাগীয় নিরীক্ষা কার্যালয়, ২৮৭টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহক সেবা পক্ষ উপলক্ষ্যে ৫৯৩ জন নারী ও ৪৫৪ জন পুরুষসহ মোট ১০৪৭ জন নতুন উদ্যোক্তার মাঝে ২০ কোটি ১১ লাখ টাকার ঋণের চেক বিতরণ করা হয়।