শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এই মর্মে অভিযোগ করে যে, বানিজ্য প্রতিদিন ও সানবিডি নামে দুইটি মিডিয়া সম্প্রতি গত ১৬ই নভেম্বর ২০২৫ আইপিডিসি সম্পর্কে অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্যের কারণে অযথার্থভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
আইপিডিসি অভিযোগ করেছে, সংবাদ প্রকাশের পর তারা লিখিত প্রতিবাদলিপি (Rejoinder) প্রদান করলেও পত্রিকাটি তা প্রকাশ করেনি এবং কোন ধরনের সাড়া দেয়নি।
মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসারে কোনো সংবাদ প্রকাশের আগে তথ্য যাচাই করা, এবং নিরপেক্ষতার মানদণ্ড বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। নিষ্ঠাবান ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা দেশ ও সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সংবাদটিতে বলা হয় দূর্বল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখার কারণে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে আইপিডিসির বিনিয়োগ। তবে এই অভিযোগ সম্পুর্নরূপে প্রত্যাখ্যান করে আইপিডিসি। আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র পক্ষ থেকে তাদের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়:
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ট্রেজারি লাইন ও কিছু ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার বিষয়ে প্রাসঙ্গিকতা ছাড়া অসত্য তথ্য ও বিভ্রান্তিকর চিত্র তুলে ধরা হয়। দুঃখজনকভাবে, প্রতিবেদনে এমন একটি ভ্রান্ত ধারণা উপস্থাপন করা হয়েছে, যা আইপিডিসি’র শেয়ারহোল্ডার, আমানতকারী ও শুভানুধ্যায়ীদের উদ্বিগ্ন করতে পারে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, আইপিডিসি প্রায় “৮৮ কোটি টাকা” এমন কিছু প্রতিষ্ঠানে রেখেছে, যেগুলোকে দুর্বল বা একীভূত/বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়াধীন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং প্রতিষ্ঠানটিকে উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে মানহানি করার চেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাস্তবে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আইপিডিসি’র আর্থিক বিবরণী, যা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দেওয়া হয়েছে, স্পষ্টভাবে দেখায় যে প্রতিবেদনের দাবির বিপরীতে এক্সিম ব্যাংকে আইপিডিসি’র কোন ট্রেজারি লাইন বা আমানত নেই।
এছাড়া, পিপলস লিজিং এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং-এ যে স্বল্প পরিমাণ ট্রেজারি লাইন ছিল, যার পরিমাণ মাত্র ৩ কোটির কিছু বেশি, তা সম্পূর্ণভাবে প্রভিশন করা হয়েছে, যাতে গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনে সঠিক সময়ে উত্তোলন নিশ্চিত করা যায়। অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো আইপিডিসিও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছে। সবশেষে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মানিত গভর্নরের বক্তব্য অনুযায়ী, সমন্বিত ইসলামী ব্যাংকিং উদ্যোগের অংশ হিসেবে শক্তিশালী আর্থিক অবস্থানে পরিচালিত সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকে আইপিডিসি’র মাত্র ১৪.৫ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি এখন একটি সরকারি ব্যাংক, এবং এফডিআর সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ। নিয়মিত মুনাফা প্রদান এবং মেয়াদপূর্তিতে পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ইতোমধ্যেই চলমান। তবে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব বা ভবিষ্যতের সঙ্গে এর কোন প্রভাব বা সম্পর্ক নেই, কারণ আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি বরাবরের মতোই তাদের বিনিয়োগকারী, আমানতকারী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের প্রতি সম্পূর্ণভাবে দায়বদ্ধ।
আইপিডিসি মনে করে, এই পরিসংখ্যানগুলো পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করে যে, উক্ত সংবাদটি দায়িত্বজ্ঞানহীন সাংবাদিকতা, যেখানে তথ্য বিকৃত করে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্তের সঠিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করা হয়নি। আরও উল্লেখ্য যে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। প্রতিবেদনে উপস্থাপিত মন্তব্যগুলো প্রসঙ্গচ্যুতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং নিয়ন্ত্রকের প্রকৃত বক্তব্যের প্রতিফলন নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যেই জনগণকে আশ্বস্ত করেছে যে, কোন আমানতকারীর টাকা হারাবে না এবং সবাই তাদের আমানত যথাসময়ে পাবেন। তবুও উক্ত প্রতিবেদনে এমনভাবে অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে, যা আমাদের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে অকারণে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের প্রতিবেদন একটি আর্থিকভাবে শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনবিশ্বাসকে অন্যায়ভাবে ক্ষুণ্ণ করে এবং শেয়ারহোল্ডার ও স্টেকহোল্ডারদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে উপস্থাপিত বলে মনে করা হচ্ছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি সবসময় বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা ও নীতিমালা অনুসরণ করে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ কর্পোরেট গভর্নেন্স নিশ্চিত করে এবং গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের প্রতি সর্বোচ্চ জবাবদিহিতা বজায় রাখে, যা গর্বেরও বটে। আইপিডিসি’র সমস্ত কার্যক্রম/অপারেশন, যার মধ্যে ট্রেজারি কার্যক্রমও অন্তর্ভুক্ত, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিচালিত হয়, যেখানে বৈচিত্র্যকরণ ও শক্তিশালী ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আইপিডিসি’র কোম্পানি সেক্রেটারি ইতোমধ্যেই পুনরায় উল্লেখ করেছেন যে, “আইপিডিসি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে, এবং সব প্রতিষ্ঠানের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য।” আইপিডিসি আর্থিকভাবে স্থিতিশীল এবং কোম্পানির সব আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীর স্বার্থ সুরক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সুতরাং, উক্ত সংবাদটি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে রচিত এবং অপ্রাসঙ্গিকভাবে উপস্থাপিত হওয়ায়, আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি বিনীত অনুরোধ করছে যেন দ্রুততার সাথে এই প্রতিবাদলিপি আপনাদের অন্যান্য সকল সংবাদমাধ্যমে, উপরে উল্লেখিত দুটি সহ, প্রকাশ করা হয় এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদটি সমস্ত সংবাদমাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করা হয়। সরকারের অন্যতম প্রধান শেয়ারহোল্ডার বিশিষ্ট একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন সংবাদ দণ্ডবিধি অনুযায়ী মানহানিকর।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি স্বচ্ছতা, সর্বোচ্চ কর্পোরেট গভর্নেন্স এবং গ্রাহক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের প্রতি জবাবদিহিতায় দৃঢ়ভাবে অটল। সরকার অন্যতম প্রধান শেয়ারহোল্ডার বিশিষ্ট একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন সংবাদ দণ্ডবিধি অনুযায়ী মানহানিকর।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
