চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলায় এ মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষিরা ভুট্টার দামও ভালো পাচ্ছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রবি মৌসুমে উপজেলার পৌরসভা, চরাঞ্চলসহ ১৪টি ইউনিয়নে দুই হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। কৃষকরা যেমন শ্রম করেছেন তেমন ফলনও হয়েছে ভালো। এ মৌসুমে কৃষকের মনে কোনও অতৃপ্তি নেই।
উপজেলায় মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি মাছ, হাঁস-মুরগী ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এর চাহিদা আগের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুট্টা গাছের পাতা সুষম গো-খাদ্য এবং কাণ্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে একদিকে যেমন কৃষক তার গবাদি পশু পালন ও জ্বালানি চাহিদা মেটাতে পারে। এ ফসলটির কোনও উচ্ছিষ্ট অংশ নেই। এর সবকিছুই ব্যবহার করা যায়। আর বাজারে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষক এ ফসলে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
লতরদি গ্রামের ভুট্টা চাষি মো. ইব্রাহীম (৩৫) জানান, তিনি ১৮ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। তার ফসল উৎপাদন হয়েছে ১৮ মণ। প্রতিমণ ভুট্টা তিনি ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। খরচ বাদ দিয়ে তার ভালোই লাভ হয়েছে।
এখলাছপুর ইউনিয়নের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য কালিতা এলাকার ভুট্টা চাষি হোসনে আরা বেগম (৪৫) বলেন, তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভুট্টার আবাদ করেছেন। তার জমিতে ভুট্টার ফলনও ভালো হয়েছে। তিনি প্রতিমণ ভুট্টা বিক্রি করেছেন ১১৫০ টাকা দরে।
মতলব উত্তর উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, রবি মৌসুমে উপজেলায় এনকে-৪০, মিরাকেল, সুপার সাইন, টাইটান জাতের ভুট্টার আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে পোকামাকড়ের তেমন আক্রমণ হয়নি।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালা উদ্দিন বলেন, উপজেলায় এক হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। রবি মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ১৮ হাজার মেট্রিক টন।