ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের আগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটকের খবরের পর জরুরি বৈঠকে বসছে দলটি।
শুক্রবার বেলা ১১টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠকে দেশের বাইরে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে।
দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যকে গ্রেপ্তারে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই বৈঠক ডেকেছেন।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল এবং ও শাহজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নেওয়া হয় বলে দাবি করে উভয়ের পরিবার।
ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম এবং আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস দুজনেই বলেছেন, ‘সাদা পোশাকের পুলিশ’ এসে তাদের আটক করে নিয়ে গেছে।
তবে বিএনপির দুই জ্যেষ্ঠ নেতাকে আটক বা গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো ভাষ্য এখনও আসেনি।
তবে ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক শুক্রবার সকালে একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি এটা না জেনে বলতে পারব না।’
একই কথা বলেছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার। অন্য পুলিশ কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
এদিকে জরুরি বৈঠকের কারণে সকাল ১০টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করার কথা জানান দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক প্রিন্স।
আগের দিনের মতই বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। নাইটিঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুলে সড়কে ব্যারিকেডও ছিল। পুরো এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় দেখা যায়, যানবাহন চলাচলও বন্ধ।
পুলিশের সতর্ক অবস্থান রয়েছে পুরো রাজধানীজুড়েই। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছেন।
বিএনপি ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে গত কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছে দেশের রাজনীতিতে। সহিংসতার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকার তাদের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে।