× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

জীবন দিয়ে হলেও দায়িত্ব পালন করব: ড. হাছান

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:০৪ এএম । আপডেটঃ ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:১৭ এএম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যে আস্থা স্থাপন করে আমার ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন, জীবন দিয়ে হলেও সংগঠনের জন্য, দলের জন্য, দেশের জন্য আমি সে দায়িত্ব পালন করব।’

রোববার বিকেলে রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের তালিকায় ড. হাছানের শীর্ষ অবস্থানে আসা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব একই আছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সর্বোতভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। আমি ১০ বছর পরিবেশ সম্পাদক, ৭ বছর প্রচার সম্পাদক, গত ৩ বছর ধরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। আবারো সভাপতি আমাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি যে আস্থা স্থাপন করে আমার ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি জীবন দিয়ে হলেও সংগঠনের জন্য, দলের জন্য, দেশের জন্য সে দায়িত্ব পালন করব। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা যেমন দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, আমরাও ভবিষ্যতের সব চ্যালেঞ্জ, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেব।’

বাংলাদেশে এবং আওয়ামী লীগে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর আওয়ামী লীগ যখন আভ্যন্তরীণভাবে বহুধাবিভক্ত, তখন পিতৃহীন সন্তানকে একজন দু:খিনী মা যেমন অনেক কষ্টে তিলে তিলে বড় করে তোলে তেমনই বঙ্গবন্ধুহীন আওয়ামী লীগকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। অনেক দুঃখ-বেদনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা-সংগ্রাম সয়ে রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন, চার চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এনে দিয়েছেন। সুতরাং এই সংগঠনে তার কোনো বিকল্প নেই তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন।’

ড. হাছান বলেন, ‘যে যত কথাই বলুক, যত সমালোচনাই করুক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। জাতিসংঘ, বিশ্ব কৃষি ও খাদ্য সংস্থা আজ বাংলাদেশের উদাহরণ দেয়। সুতরাং দেশের জন্যও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।’

আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও নতুন কমিটির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, কমিটি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। কারণ যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, তাদের ওপর সভাপতি আস্থা রেখেছেন। 

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে যে চমক লাগানো উন্নয়ন হয়েছে, সেই পথ ধরে আগামী নির্বাচনেও আমরা ধস নামানো বিজয় অর্জন করবো ইনশাআল্লাহ।’

বিটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জাতীয় জীবনের মাইলফলক: তথ্যমন্ত্রী

বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামের বাঁকে বাঁকে অবদান রাখা বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমাদের জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিটিভিকে তার ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এভাবেই বর্ণনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

রোববার বিকেলে রাজধানীর রামপুরায় বিটিভি সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয় এ সম্প্রচার মাধ্যমের ৫৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ দিনের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন ও উর্ধ্বতন কর্মকতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

বিটিভিকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ জানান, বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ বিটিভি ও বিটিভি চট্টগ্রাম নিয়ে এখন বিটিভির চারটি চ্যানেল। আরো ছয়টি বিভাগীয় শহরে বিটিভির পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৬৪ সাল থেকে বাংলা ভাষায় বিশ্বের প্রথম টিভি চ্যানেল বিটিভি গত ৫৮ বছরের পথচলায় আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে লালন করার ক্ষেত্রে, আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে, দেশ ও জাতি গঠনে, জাতির মনন তৈরিতে  যে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে, সেটি অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এ দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে এবং সেই বেসরকারি টেলিভিশন যারা শুরু করেছিলেন তাদের বেশিরভাগেরই হাতেখড়ি বাংলাদেশ টেলিভিশনে। বিটিভি অনেক নামীদামী শিল্পীর জন্ম দিয়েছে।’

বিটিভির অনেক কর্মকর্তা মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন এবং ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বিটিভির চারজন কর্মকর্তাকেও ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে, স্মরণ করেন তথ্যমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, ‘বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, বাংলাদেশের অভ্যুদয় সব ক্ষেত্রেই বিটিভির অবদান রয়েছে। তৎকালীন ডিআইটি বর্তমান রাজউক ভবনে শুরুর পর রামপুরায় বিটিভির নতুন ভবন উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এবং ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করতে না দেওয়ায় বিটিভি'র কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সেদিন কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। সেই বিটিভির জন্য অনেক শুভকামনা।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন পাইলট প্রকল্পকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদৃষ্টি দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় সম্প্রচার গণমাধ্যমে রূপ দেন। সম্প্রচার জগতের পথিকৃৎ হিসেবে সেই বিটিভি  জাতীয় জীবনে ও দেশে সকল টিভি চ্যানেলের পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিটিভির মহাপরিচালক এবং বক্তারা বিটিভির প্রবীণ ও নবীন সকল শিল্পী, কুশলী,কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অভিনন্দন জানান।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.