বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসেছে। তাই পৃথিবীর সব মানুষ বলে গত দুই সংসদ নির্বাচন সঠিক হয়নি। তারা ২০২৪ সালেও ক্ষমতায় আসতে ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে রেখেছে। তার সঠিক চিকিৎসা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আজ মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। তারা সাঈদীকে (জামায়াত নেতা ও যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) জেলে ঢুকিয়ে মেরে ফেলেছে। তেমনি তারা খালেদা জিয়াকেও মারতে চায়।’
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া সদরের এরুলিয়া হাটখোলায় বগুড়া থেকে রাজশাহীর রোড মার্চের কর্মসূচি উদ্বোধনকালে পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এই রোড মার্চের আয়োজন করে।
অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এতদিন সংসদ বিলুপ্ত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করার দাবি জানানো হয়েছে। এখন দফা এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
তিনি সরকারকে ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক দাবি করে বলেন, ‘তাদের সরিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এ রোড মার্চ। আর এ রোড মার্চে জনগণ জেগে উঠেছে; ওদের পরাজিত করতে এক দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন। আজ ৫২ বছর পর ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আজ চালের দাম ৭০-৮০ টাকা কেজি। সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। আওয়ামী লীগ সরকার শুধু পণ্যের দাম কমাতে ব্যর্থ নয়; দেশ চালাতেও ব্যর্থ হয়েছে। তারা লুট করে টাকা বিদেশ পাচার করছে। তাই তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারেক রহমান বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে; তাই এ অবৈধ সরকারকে রাজপথে থেকেই বিদায় করতে হবে। ভোট চোররা আবারও ক্ষমতায় আসতে মাঠে নেমেছে। তাই ভোট চোরদের প্রতি নজর রাখতে হবে। এদের সঙ্গে যেসব আমলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, লুটেরা ব্যবসায়ী ও বিচার বিভাগের লোকজন আছে তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। আমেরিকা শুধু ওদের ভিসা বাতিল নয়; জনগণের কাছ থেকেও বাতিল করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়ন হলে আমাদের আন্দোলন শেষ হবে।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত পথসভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াসিন আলী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির, সহ-সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, বিএনপি নেতা তৌহিদুল আলম মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh