সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা থেকে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে উদ্বোধনী সমাবেশের পর রোডমার্চ শুরু হয়।
১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘপথে মাগুরায় ২টি, যশোরে ৩টি ও খুলনার প্রবেশমুখে একটি পথসভা হবে। খুলনা শহরের শিববাড়ি মোড়ের জিয়া হল চত্বরে সমাপনী সমাবেশের মাধ্যমে রোডমার্চ শেষ হবে। রোডমার্চে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী রোডমার্চে যোগ দিয়েছেন। পথে পথে মাগুরা, যশোরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রোডমার্চের বহরে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সমাবেশে বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিদ্য ইসলাম আমিত, ছাত্রবিষরক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা।
সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রংপুর থেকে দিনাজপুর, বগুড়া থেকে রাজশাহী, ভৈরব থেকে সিলেট ও বরিশাল থেকে পিরোজপুর পর্যন্ত চারটি রোডমার্চ করেছে তারা। এ ছাড়া রাজধানীতে একাধিক সমাবেশ করেছে দলটি।
এদিকে আগামী ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ, ৩ অক্টোবর ফরিদপুর বিভাগে ও ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হবে।