আওয়ামীলীগ তথা হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে, দলের ক্লান্তি কালে হাল ধরে ছিলেন কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের মেঠোপথে বেড়ে উঠা বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৫ সালের ১০মে রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি ভবন থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুম’ হন সাবেক মন্ত্রী কক্সবাজারের পেকুয়ার সূর্য সন্তান আলহাজ্ব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। দুই মাস একদিন পর ‘গুম রাজ্য’ থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরের গলফ কোর্স ময়দানে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারলেও ফিরতে পারেননি নিজের মাতৃভূমিতে।
তারপর কেটে গেছে অনেকদিন, অনেক বছর। এই নেতার গুমকে ঘিরে কক্সবাজারতথা পুরো দেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে সালাহ উদ্দিন আহমদের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া কামনা করে মোনাজাত করেছিলে। এটি একটি মাইলফলক হয়ে স্মরনীয় হয়ে থাকবে এদেশে।
এদিকে দশবছর পর আজ ২৮ আগস্ট ( বুধবার) তার আগমনকে ঘিরে ঢাকঢোল বাজিয়ে প্রস্তুতি চলছে সালাহউদ্দিন আহমদকে বরণে। তিনি কক্সবাজার থেকে ফিরে গিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে। এবার ফিরে আসছেন বিএনপির শীর্ষ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র সদস্য হয়ে। তাই আয়োজনও তেমনই করার উদ্যোগ চলছে।
কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক তরুন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আইয়ুব আলী জানান, প্রিয় নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদের কর্মী হয়ে রাজপথে থাকায় বিভিন্ন সময় হাসিনা সরকারের সন্ত্রাসীদের ইন্ধনে মামলার আসামী হয়ে নির্বাসিত জীবন যাপন করেছি আর প্রিয় নেতার আগমনে আমাদের ঈদের আনন্দ মত লাগতেছে।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, প্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমদকে এমন ভাবে বরণ করা হবে, যেটি অনেককাল ইতিহাস হয়ে থাকবে। জেলাজুড়ে সৃষ্টি করা হবে ‘গণপ্লাবণ’। ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলা বিএনপি, চকরিয়া উপজেলা বিএনপি, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপি ও পেকুয়া উপজেলা বিএনপি প্রস্তুতি শুরু প্রায় শেষ করেছে। দলটির এ চারটি শাখা প্রস্তুতি সভা করে গঠন করেছে শৃঙ্খলা কমিটি। পথে পথে চলছে তোরণ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। ব্যানার-ফেস্টুন তো আছেই।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানান,সকলের প্রিয় মানুষ সালাহ উদ্দিন আহমদকে বরন করতে নববধুর সাজে সেজেছে কক্সবাজার। সাথে তার সাথে দেখার জন্য অপেক্ষার যেন কমতি নাই মানুষের।
জেলার মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, সালাহ উদ্দিন আহমদের আগমনকে ঘিরে উৎসব কক্সবাজার শহর পেরিয়ে মহেশখালীর গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে।
পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট বলেন, এক দশক পরে এই অঞ্চলের অবিসংবাদিত নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘরে ফেরাকে কেন্দ্র করে পেকুয়ার ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ বইছে।