মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির জামিন পেয়েছেন। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে কাদিরের পক্ষে জামিনের জন্য আবেদন জানান আইনজীবীরা। পরে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুলিশের জিআরও এএসআই পিযুষ কান্তি দাস রোববার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার তালিমপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদিরকে আটক করে যৌথবাহিনী। পরদিন শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কাদির উপজেলার তালিমপুর গ্রামের মৃত আসাব উদ্দিনের ছেলে।
যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদিরকে আটকের পর তার ছেলে মাহি হাসান নিলয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের বাড়িতে সেনাবাহিনী এসে আমার বাবাকে ক্যাম্পে যেতে বলে। তখন আমার বাবা ঘর থেকে বের হলে তারা তাকে মারধর করেন। এসময় আমাদের ঘরে অস্ত্র আছে বলে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু অস্ত্র তারা পায়নি। পরে আমার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় আমাদের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।’
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক হওয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদিরকে আটকের পর শুক্রবার সকালে পৌর যুবদলের এক নেতার করা মামলায় সন্ধিগ্ধ আসামি হিসাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। গত ২৩ আগস্ট বড়লেখা পৌর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম তাফাদার বাদি হয়ে মামলাটি করেন। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি গণহত্যা দিবস ও কালো পতাকা মিছিল চলাকালে বড়লেখা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনকে প্রধান আসামি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ৩৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে তিনি মামলাটি করেন।