রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে মিথ্যে অপপ্রচার বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বাগেরহাট জেলার আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমান। শনিবার (১৪ সেপ্টেপম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই অনুরোধ জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা যুবদলের সভাপতি ছিলাম। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। এরপরে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এবং বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি।
৫আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে স্বৈর শাসকের পতনের পর দেশে যখন স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। ঠিক তখনি একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে দেশের এই বিশাল অর্জন নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য পরিকল্পিত ভাবে আমার সাংগঠনিক দক্ষতা, রাজনৈতিক সুনাম ও জনপ্রিয়তা বিনষ্ট করতে বিভিন্ন কল্প কাহিনীর অবতারণা করছে। আমি না কি এলাকার কেন্দুয়ার বিলে ১২শত বিঘার ঘের লুট করেছি। প্রকৃত পক্ষে ওই বিলে ১২ শত বিঘার কোনো ঘের নাই। এলাকায় দুগ্ধ খামারের গাভি, গরু, খামারের মুরগি ইত্যাদি লুটপাট করেছি বলেও বানোয়াট কাহিনী বলে আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, বিএনপি দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) জনাব তারেক রহমান ঘোষনা দিয়েছেন, কোন দখলবাজ লুটতরাজকারী, ঘের দখলকারী, সংখ্যা লঘু নির্যাতনকারী বি. এন. পি. তে জায়গা হবে না। এই ধরনের কোন কর্মকান্ডের সাথে কেউ যুক্ত থাকলে দল তাকে সরাসরি বহিস্কার করবে। সে দলের তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত যে কোন পর্যায়ের নেতা হোক না কেন এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়ালে তাকে ক্ষমা করা হবে না। দলের চেয়ারম্যানের নির্দেশ আমি আমার এলাকায়/ উপজেলায় শক্তভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছি। এই বিষয়টি দীর্ঘ দিনের আওয়ামী লীগের আদর্শ ও স্বপ্ন লালনকারী একটি চক্র পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে। তিনি সাংবাদিকদের সামনে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোন দখলবাজী, চাঁদাবাজী, প্রতিপক্ষের সম্পদ লুট, বা কোথাও কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলাম এমন কোন প্রমান কেউ দিতে পারলে রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যহতি নিব।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, মোল্লাহাট উপজেলাটি পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার জেলা গোপালগঞ্জ সংলগ্ন হওয়ায় দীর্ঘ বছর ধরে তারা এলাকাটি জিম্মি করে রেখেছিল। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দলের নেতা কর্মিদের ধরে রেখেছি। একাধিকবার মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হয়েছি জেল খেটেছি। এতো কিছুর পরও আমি কখনও বিএনপির নির্দেশনা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে সরে যায়নি। বিগত সরকারের দোসর আমার এলাকার বাইরের জনৈক মৎস্য খামারি আজিজুর রহমান কেন্দুয়া বিলে সাধারন জমির মালিকদের জমার টাকা না দিয়ে জোর পূর্বক জবর দখল করে মৎস্য খামারসহ নানা ব্যবসা করে গরীবের রক্ত চুষে খেয়েছে। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর জমির মালিকেরা তাদের জমি ফিরে পেতে প্রশাসন সহ নানা জায়গায় ধর্না দেওয়া শুরু করলে অত্যাচারিরা আত্মগোপনে গিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে নানান অপবাদ রটাচ্ছে। গোপালগঞ্জের বেশ কয়েক জন আওয়ামীলীগ নেতা ও মোল্লাহাটের প্রভাবশালী দুই জন প্রতিনিধি বাটপার আজিজুর রহমানের ব্যবসায়িক পার্টনার। তারা যতই ষড়যন্ত্র করুক মোল্লাহাট বিএনপি, আমাকে শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে সরানো যাবে না।