জিয়াবাদ
বলুন, মুজিববাদ বলুন—আমরা কোনো বাদ বাংলাদেশে চাই না৷ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রধান জায়গায় থাকবে জনগণ। জনগণের পক্ষেই আমরা লড়াই করতে চাই।
গতকাল (২২
জানুয়ারি) রাজধানীর
বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব
কথা বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
নাসীরুদ্দীন
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘কোনো আদর্শিক বিভাজনে কেউ যাবেন না। এখানে লাল সন্ত্রাস, নেভি সন্ত্রাস, সবুজ সন্ত্রাস—অনেক সন্ত্রাস আসবে। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর
আমরা কোনো জাতিগত বিদ্বেষ চাই না, কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চাই না। আদর্শিক বিভাজন থেকে আমরা সরে আসতে চাই। জনগণের মূল্যায়নে সংবিধান তৈরি হবে, জনগণকে ফোকাস করে।
তিনি
বলেন, একাত্তরের পর জনগণকে অন্ধকারে
রেখে একটি সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল, সেই সংবিধানের মধ্য দিয়ে বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করা হয়েছিল। বিভাজনের রাজনীতি যে সংকট তৈরি
করেছে, সেই সংকটের একটা পর্যায়ে এসে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান হলো।
বাহাত্তর
থেকে পঁচাত্তরের শাসনকে ‘অন্ধকার সময়’ উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, সেই সময়ের অজানা অধ্যায়গুলো নিয়ে অনেকে কাজ করছেন। দিন দিন এই বিষয়গুলো মানুষের
সামনে ধীরে ধীরে উঠে আসছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির মাধ্যমে নতুন যে রাজনৈতিক দল
আসবে, সেখানে পড়াশোনা ও আলোচনার চর্চা
অব্যাহত রাখা হবে।