বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের পথে যাওয়া। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। জোর করে নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে বিতর্কিত করলে জনগণ আবার অধিকার বঞ্চিত হবে।
আজ
(২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের ৫৬তম মৃত্যুবাষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় শহীদ আসাদের স্মৃতিচারণ করে ফখরুল বলেন, কেউ স্মরণ বা না করুক,
শহীদ আসাদ ইতিহাসে আছেন, ইতিহাসে থাকবেন।
নির্বাচন
প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
‘নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে। জোর করে যদি সেই বিষয়টাকে বিতর্কিত করে ফেলা হয়, জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’
বিএনপি
মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনে কে আসবে সেটা
গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা। সেটার জন্যই আমরা লড়াই করেছি দীর্ঘ ১৫ বছর। সে
কারণেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। স্বাভাবিকভাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে। কিন্তু এখন সমাজের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে,
সে ধরনের ব্যবস্থায় থেকে আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না, আমাদের প্রত্যাশাগুলো পূরণ হবে।’
তিনি
আরও বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন প্রোগ্রাম, কর্মসূচি আছে। সেই কর্মসূচিগুলো তারা চালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু একটি বিষয়ে সবাই একমত, একটি নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়, একটি গণতান্ত্রিক পথ সৃষ্টির জন্যও
নির্বাচন প্রয়োজন।’
শহীদ
আসাদকে নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঊনসত্তরের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমরা যারা জড়িত ছিলাম, তাদের কাছে শহীদ আসাদ ভালোবাসার নাম। আমরা যে সংগ্রাম-আন্দোলন
করেছি, সেই সংগ্রাম-আন্দোলনে আসাদ একটি অনুপ্রেরণা। যতই পাঠ্যপুস্তকে নাম না থাকুক বা
কেউ স্মরণ না করুক, শহীদ
আসাদকে ইতিহাস থেকে কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। এ দেশের স্বাধীনতা
সংগ্রামের ইতিহাসে আসাদ অমর হয়ে থাকবেন।’
তিনি
আরও বলেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা একজন ফ্যাসিস্ট শাসককে দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছি। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি।’