জাতীয়
নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যদি আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের কোনো ধরনের পরিকল্পনা করা হয়, তবে তা কঠোর হাতে
দমন করা হবে। তিনি শুধু আওয়ামী লীগ নয়, ফ্যাসিজমের সব দোসর ও
সুবিধাভোগীকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বানও জানিয়েছেন। নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেন, "বাংলাদেশে কখনো আরেকটি এক-এগারো হতে
দেওয়া হবে না।"
গতকাল
(২২ মার্চ) সন্ধ্যায়, রাজধানীর বকশীবাজারের কারা কনভেনশন সেন্টারে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে
এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ
ইসলাম বলেন, "আমরা বিভিন্ন জায়গায় শুনতে পাচ্ছি যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র এবং পরিকল্পনা চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি এবং আজকের এই অনুষ্ঠানে আবারও
বলছি—আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের কোনো ধরনের পরিকল্পনা হলে তা কঠোরভাবে দমন
করা হবে। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, ফ্যাসিজমের যে সমস্ত দোসর
ও সুবিধাভোগী রয়েছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।"
তিনি
আরও বলেন, "জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শুধু
আওয়ামী লীগকে বিদায় করা হয়নি, ৩ আগস্ট শহীদ
মিনারে আমরা বলেছিলাম, আওয়ামি লীগ ও এই ফ্যাসিবাদী
১৫ বছরের যাত্রা এক-এগারোর বন্দোবস্ত
থেকে শুরু হয়েছিল। আরেকটি এক-এগারো আমরা
কখনো বাংলাদেশে হতে দেব না।"
নাহিদ
ইসলাম বলেন, "জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর
আমরা বলেছিলাম, ছাত্র-জনতার সমর্থিত সরকারকে অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "কোনো ধরনের বিরাজনীতিকরণ বা সামরিকীকরণের চেষ্টা
মেনে নেওয়া হবে না। আমরা জানি, বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক শূন্যতার কারণে সামরিক হস্তক্ষেপ ঘটেছে, কিন্তু তার ফল কখনোই গণতন্ত্রের
জন্য ভালো হয়নি।"
তিনি
বলেন, "এটি একটি গণ-অভ্যুত্থান ছিল,
যেখানে জনগণ জেগে উঠেছে। তারা তাদের সিদ্ধান্ত ও অধিকার নিজে
নিতে চায়। জনগণের সেই অধিকার ও মালিকানা তাদের
ফিরিয়ে দিতে হবে।"
এনসিপির
আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, "আমরা দেখেছি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে পুলিশকে
কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা কখনোই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নই, কিন্তু সেগুলোকে পুনর্গঠন করতে হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত,
তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।"
তিনি
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে থাকতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, "যদি এই প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী
দোসররা থাকে, যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, তাদের কঠোর বিচার করা উচিত।"