এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রাম, আর ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল মুক্তির অন্তরায়গুলো দূরীকরণের সংগ্রাম। এজন্য ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে "বাংলাদেশ ২.০" হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান এক নয়, তবে উভয়ের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই হানাদার বাহিনী নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছিল, যা জনগণকে রাজপথে নামতে বাধ্য করেছে।
আজ (২৬ মার্চ) সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল সাম্যের পক্ষে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা—যা ৭১ সালে দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে ছিল।
তিনি আরও বলেন, ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও, ২০২৪ সালের হানাদাররা আত্মসমর্পণ না করে হেলিকপ্টারে পালিয়ে গেছে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য বিচারের এবং সংস্কারের চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
তিনি আরও জানান, যে প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। তরুণদের তৈরি করা প্রত্যাশা আর নিভে যাওয়ার নয়, এবং সংস্কারবিহীন নির্বাচন কোনো অর্থবহ হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্বাস ইসলাম খান নোমান, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী চৌধুরী।