গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, যখন ওবায়দুল কাদের দেশে ছিলেন, তখন কেন ডেভিল হান্ট ঘোষণা করেননি? চোরেরা যখন পালিয়ে গেছে, তখন কেন আওয়ামী লীগের ছ্যাঁচড়া ও টোকাইদের ধরছেন? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, কেউ আওয়ামী লীগ, কেউ ডামি এমপি হয়ে নির্বাচনে এসেছে। এই ডামি এমপিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বর্তমান উপদেষ্টারা।
তিনি আরও বলেন, এই উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করা উচিত। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে উপদেষ্টা পরিষদ সংস্কার করতে হবে, নাহলে গণহত্যার বিচার হবে না এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে না। তিনি নির্বাচনের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, দেশের নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
আজ (২৬ মার্চ) বিকেল ৩টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে রাশেদ খান এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করালে আবার একটি এক/এগারো পরিস্থিতি তৈরি হবে, যা হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের পুনর্বহাল হওয়ার পথ খুলে দিতে পারে। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চলছে সেনাবাহিনীর মধ্যে।
গণহত্যার বিচার নিয়ে রাশেদ খান বলেন, কোনোভাবেই তা বিলম্বিত করা যাবে না। আগামী ছয় মাসের মধ্যে যারা অপরাধী, তাদের বিচার করে দ্রুত রায় দিতে হবে, এবং দুই মাসের মধ্যে তাদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, যদি সেনাবাহিনী গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা না রাখতো, তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। সেনাবাহিনী যখন আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট পুলিশের দিকে বন্দুকের নল তাক করেছে, তখনই হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে রাশেদ খান দাবি করেন, গণহত্যার বিচার করতে হবে, রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে, এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা চলবে না, জনগণ তা মেনে নেবে না। সংস্কারের প্রধান উপাদান হবে নির্বাচন।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহযোগী কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব, কুষ্টিয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, পৌর কমিটির সভাপতি ভিপি রঞ্জু, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাসেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, এবং কুষ্টিয়া শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি মিলন মালিথা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।