আমাদের
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সুদূর
অতীত থেকে গড়ে ওঠা এক দৃঢ় ভিত্তির
ওপর প্রতিষ্ঠিত। ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মানবিক মূল্যবোধের
সম্মিলনেই গড়ে ওঠে একটি সুসংগঠিত জাতি। জাতির আত্মপরিচয়ের অন্যতম উজ্জ্বল উপাদান হচ্ছে বাংলা নববর্ষ—পহেলা বৈশাখ।
আজ
(১৩ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে দেশ-বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমান এসব
কথা বলেন।
তিনি
বলেন, “আবহমানকাল ধরে পহেলা বৈশাখ নানা রূপ ও বৈচিত্র্য নিয়ে
আমাদের জীবনে বারবার ফিরে আসে। এই উৎসব প্রকৃতির
উচ্ছ্বাস ও প্রাণের নবজাগরণের
সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এটি আমাদের হৃদয়ে জাগিয়ে তোলে স্বজাতির অতীত গৌরব, ঐতিহ্য ও ঐশ্বর্যের স্মৃতি।”
প্রতি
বছর নববর্ষ আমাদের অনুপ্রাণিত করে অতীতের আলোকে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে। সেই প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “এখন সময় এসেছে একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। এজন্য প্রয়োজন জনগণের উদার দৃষ্টিভঙ্গি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তিতে
বহুমতের সহাবস্থান নিশ্চিত করে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলা।”
তিনি
আরও বলেন, “নানা ঘটনা ও দুর্ঘটনার সাক্ষী
হয়ে ১৪৩১ সাল পেরিয়ে আমরা আজ ১৪৩২ সালের
নতুন ভোরে উপনীত হয়েছি। যখন সারা বিশ্বে রক্তপাত ও অশান্তির ছায়া
বিস্তৃত, তখন শান্তির জন্য শুধু অপেক্ষায় থাকলে চলবে না। আমাদের প্রয়োজন নিঃস্বার্থ সমাধানের পথ খোঁজা—যেখানে
স্বার্থ নয়, থাকবে শান্তির অঙ্গীকার। তাহলেই রক্তপাত বন্ধ হবে, শান্তির প্রতীক্ষাও দীর্ঘ হবে না।”
তিনি
আহ্বান জানান—অতীতের ক্লান্তি, হতাশা ও গ্লানিকে পেছনে
ফেলে নতুন আশায়, নতুন শক্তিতে আমরা যেন অগ্রসর হই একটি সুন্দর,
শান্তিপূর্ণ ও উন্নত ভবিষ্যতের
পথে।