ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদকে ‘নব্য প্যাগানবাদী সংস্কৃতির কারখানা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এবং মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।
আজ
(১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা
বলেন, “পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রাকে নব্য প্যাগানবাদী সংস্কৃতির মোড়লদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এটি শুধু সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদেরই বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং ভারতপন্থী ফ্যাসিস্ট সরকারের রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।”
তারা
দাবি করেন, “ভারতপন্থী সেক্যুলার এলিটরা এই উৎসবের নামে
আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি থেকে তৌহিদবাদী চেতনাকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এদের সাংস্কৃতিক আধিপত্য রোধ করতে না পারলে গণমানুষের
ধর্মীয় চেতনা ও মূল্যবোধ বিকাশের
পথ সংকুচিত হবে।”
হেফাজতের
নেতারা বলেন, “বিশ্বসভ্যতার ইতিহাসে ধর্মই ছিল মূল ভিত্তি। এমনকি পশ্চিমা আধুনিকতার জন্মও হয়েছে খ্রিস্টীয় ধর্মসভ্যতার গর্ভে। আমরা মুসলমানরা মিল্লাতে ইবরাহীম বা নবী ইবরাহিম
(আ.)-এর তৌহিদভিত্তিক সভ্যতার
ধারক ও বাহক। আমাদের
সেই ধর্মীয় ইতিহাস ও সভ্যতার শিকড়
ভুলে গেলে চলবে না।”
বিবৃতিতে
আরও বলা হয়, “আজ ধর্মনিরপেক্ষতা ও
সর্বজনীনতার নামে যারা সংস্কৃতির ছলে আমাদের ওপর নব্য প্যাগানবাদ চাপিয়ে দিতে চায়, তারা মূলত এক ধূর্ত ভারতীয়
প্রভাব ও বৈদিক প্রকল্প
বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ
করতে হবে।”
তারা
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে তৌহিদবাদী চেতনা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই উৎসবকে সত্যিকার
অর্থে গণমানুষের হতে হলে, তাতে তৌহিদভিত্তিক গণসংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতিচ্ছবি নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”